যশোরের অভয়নগর নওয়াপাড়া বাজারে পচাঁ মাংস বিক্রি ও ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভাল মাংসের সাথে মাথা ও ছাঁটাই মাংস মিশিয়ে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ক্রেতা সাধারণ মাংস কিনতে গিয়ে প্রতারণার স্বীকার হচ্ছে। অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের প্রতারণার মাংস ব্যবসা।
নওয়াপাড়া মাংস বাজারে সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ দোকানগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। মানা হচ্ছে না কোন স্বাস্থ্যবিধি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই জবাই করা হচ্ছে রোগাক্রান্ত পশু। দোকান গুলোতে টাঙ্গানো নেই কোন মূল্য তালিকা। তাছাড়া এই দোকানগুলোর বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযোগ ওঠে ওজনে কম দেওয়ার। এর পাশাপাশি আরোও অভিযোগ ওঠেছে ৪/৫ দিনের পচাঁ ও বাসি মাংস বিক্রির। তাছাড়া ভাল মাংসের সাথে মাথা ও ছাঁটাই মিশিয়ে প্রতিনিয়ত ক্রেতাদের ঠকানো হচ্ছে। বারবার এই বিষয়ে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহা মেলেনি। ক্রেতা সাধারণের মধ্যে এ নিয়ে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে মাংস ক্রেতা গুয়াখোলা গ্রামের আব্দুর রশিদ বলেন, কিছুদিন আগে আমি এখানকার মুরগীর দোকান থেকে একটি সোনালী মুরগী কিনে ওই দোকানের মেশিনে পরিষ্কার করতে দিয়ে অন্যান্য বাজার করতে যায়। পরে মুরগী নিয়ে বাসায় যেয়ে দেখি মুরগীর কলিজা পঁচা।
এছাড়া বেঙ্গল গেটের কাশেম আলী বলেন, আমি নওয়াপাড়া মাংসের দোকান থেকে সাড়ে তিন কেজি মাংস কিনি। তারপর বাড়িতে যেয়ে মেপে দেখি ৩ কেজি ১ পোয়া হয়েছে। তাছাড়া এই মাংসের সাথে মাথা ও ছাঁটাই মাংস মিশানো পাই। এরা আমাদের প্রতিনিয়ত এভাবে ঠকাচ্ছে। তাছাড়া এসকল মাংসের দোকানগুলোর বিরুদ্ধে প্রায়ই পানি দিয়ে মাংসের ওজন বাড়ানোর অভিযোগও পাওয়া যায় ।
নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র সুশান্ত দাস শান্ত বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসিনি। তবে আমরা বাজার মনিটরিং এর মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুর রহমান বলেন গত সপ্তাহে আমরা মাংস বাজারে অভিযান চালিয়ে কয়েকটি দোকানে জরিমানা করেছি। পাশাপাশি সকল দোকানদারকে সতর্কও করে দিয়েছি। এবং আমাদের এই অভিযান এখন থেকে অব্যাহত থাকবে।
খুলনা গেজেট/এনএম