খুলনা, বাংলাদেশ | ২০ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৩ মে, ২০২৪

Breaking News

  গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, স্টেশন মস্টারসহ সাময়িক বরখাস্ত ৩
  এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়

অভয়নগরে চোখ ওঠা রোগের ভয়ানক থাবা : ওষুধ সংকট

অভয়নগর প্রতিনিধি

যশোরের অভয়নগর উপজেলার সর্বত্র চোখ ওঠা রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। শিশু থেকে বয়স্ক সকলেই আক্রান্ত হচ্ছে এই রোগে। এছাড়া কোন পরিবারে একজন আক্রান্ত হলে বাকি সদস্যরাও বাদ পড়ছেনা। যে কারণে চাহিদা বেড়েছে চোখের ড্রপের। আর এই সুযোগে ফার্মেসিগুলোতে ড্রপের সংকট দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, অভয়নগরের নওয়াপাড়াসহ অন্যান্য বাজারের বেশির ভাগ ফার্মেসিতে পাওয়া যাচ্ছে না লোমিফ্লক্স এই ড্রপটি।

সোনলী ফার্মেসীর পরিচালক বিশ্বজিৎ সিংহ জানান, লোমিফ্লক্স এই ড্রপটি চাহিদার তুলনা সরবরাহ কম থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে ভুক্তভোগীদের দাবি সংকট দেখিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে এই ড্রপটি।

বৃহস্পতিবার নওয়াপাড়া বাজারের নুরবাগ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এছাড়া চশমার দোকানগুলোতেও কালো চশমার চাহিদা বেড়েছে এবং কিছুটা বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক আক্রান্ত রোগী।

আসমা বেগম, তুলি খাতুন , রেহেনা বেগম, আসাদ হোসেন, রহিম শেখ জানান, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দুটি চোখের ড্রপ কিনতে বাজারের বিভিন্ন ফার্মেসিতে ঘুরে ঘুরে আইড্রপ পেয়েছেন কিন্তু এমআরপির চেয়ে বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। এমনকি কালো চশমা কেনার জন্য চশমার দোকানে গেলেও অনেকটা বেশি দামে চশমা কিনতে হচ্ছে।

আশা অপটিক্যালের মালিক মোঃ রফিকুজ্জামান বলেন, কালো চশমা পাওয়া যাচ্ছেনা। কম সংখ্যক পাওয়া গেলেও দাম বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তবে বাজারের ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ওভার রেটে চোখের ড্রপ ও অয়েন্টমেন্ট বিক্রি করছেন । অনেকেই আবার প্রেসক্রিপশন দিলে বাড়তি দামে ড্রপ দিচ্ছেন অন্যথায় নেই বলে জানিয়ে দিচ্ছেন।

এলবি হাসপাতালের চোখের ডাক্তার ডাঃ মাহমুদুর রহমান রিজভী জানান, এ উপজেলায় প্রতিনিয়ত চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সাধারণত এ সময়ে এই রোগ দেখা দেয়। আমি যেটা পরামর্শ দিয়ে থাকি পরিষ্কার পরিছন্ন থাকতে হবে। আক্রান্ত রোগীকে আলাদা থাকার চেষ্টা করতে হবে। রোগীর চোখ থেকে অনেক বেশি পানি পড়ে, ময়লা কম থাকে। চোখ লাল হয়ে ওঠে। তবে বেশি রোগী আসছে স্কুল, মাদ্রাসার। শিক্ষর্থীরা এক সাথে চলা ফেরার কারণে । এই রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি বাড়ছে। আই ঔষধ, প্যারাসিটামাল, এলার্জি জাতীয় ঔষধ আমরা ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে।

এ ব্যপারে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান জানান, এই রোগের সংক্রমণ এমন আবহাওয়ায় হয়ে থাকে। চিন্তিত হবার কিছু নেই এই আবহাওয়া কেটে গেলে ঠিক হয়ে যাবে।চোখ নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। চোখে চশমা ব্যবহার করলে ভালো হয়। সকলকে সচেতন থাকতে হবে।

খুলনা গেজেট/এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!