খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  তীব্র তাপদাহের মধ্যে আজ খুলছে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

অনির্দিষ্টকালের জন্য সীতাকুণ্ডের সব অক্সিজেন কারখানা বন্ধ

গেজেট ডেস্ক

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সব অক্সিজেন কারখানা আজ শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সীমা অক্সিজেন প্লান্টের পরিচালক পারভেজ উদ্দিনের কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে হাজির করার প্রতিবাদে জাহাজভাঙা শিল্পমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে বিএসবিআরএ’র সভাপতি আবু তাহের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে উপজেলার বানু বাজারস্থ বিএসবিআরএ কার্যালয়ে আয়োজিত সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সব অক্সিজেন কারখানার মালিক, জাহাজভাঙা শিল্পমালিক ও শ্রমিকরা মানববন্ধন করবেন। পাশাপাশি আজ থেকে সীতাকুণ্ডের সব অক্সিজেন কারখানার উৎপাদন, পরিবহন ও সরবরাহ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।

একইসঙ্গে সভা থেকে পারভেজ উদ্দিনের মানহানিকর অবস্থা সৃষ্টি করায় শিল্প পুলিশের দায়ী সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলার দাবি জানানো হয়।

এদিকে বিএসবিআরএ’র সদস্য আবুল কাশেম জানিয়েছেন, শুধু শিল্পে ব্যবহৃত অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ থাকবে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত অক্সিজেন সরবরাহ চালু থাকবে।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, শিল্প পুলিশের এমন অন্যায়, নিন্দনীয় ও গর্হিত কার্যক্রমে পারভেজ উদ্দিন সান্টু’র ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং ব্যবসায়িক মর্যাদাহানি হয়েছে। এটি একজন শিল্প মালিকের প্রতি শিল্প পুলিশের অন্যায় আচরণ।

প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ বিকেলে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় সীমা অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হন।

এ ঘটনায় নিহত এক জনের স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় সীমা অক্সিজেন প্লান্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন উদ্দিন ও দুই পরিচালকসহ মোট ১৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

এ মামলায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানহাট এলাকা থেকে সীমা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সীমা অক্সিজেন কারখানার পরিচালক পারভেজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে শিল্প পুলিশ। এর পরদিন বুধবার তাকে কোমরে দড়ি বেঁধে ও হ্যান্ডকাফ পরিয়ে আদালতে তোলা হয়। এরপর কোমরের দড়ি বাঁধার ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!