খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  চাওয়াই নদীতে গোসলে নেমে প্রাণ গেল দুই শিশুর
  গরুবাহী নছিমনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত
  জামালপুরে ধান মাড়াই করতে গিয়ে তাঁতী লীগ নেতার মৃত্যু
  দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

অতৃপ্তি

তাপস মণ্ডল

রাস্তা দিয়ে আপনমনে হেঁটে চলেছি। মাথার মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিছু উৎকট প্রশ্ন। গোবরের মৌসুম চলছে যেন চারপাশে। বিশ্রী এক দুর্গন্ধ ঘুরে বেড়াচ্ছে বাতাসজুড়ে। আমি নাক চেপে যত দ্রুত পারা যায় হাঁটছি। রাস্তার পাশেই বসে ছিল মোহিনী। আমাকে দেখেই ডেকে বলল, ‘কোথায় যাচ্ছ অনিন্দ্য দা? তোমাকে তো এই এলাকায় আর খুঁজে পাবার জো নেই’। আমি বরাবর মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সংকুচিত হয়ে পড়ি। আর এই মেয়েটার সামনে তো কথাই নেই। মনে হয় হৃদপিণ্ড ও ছিঁড়ে বের হয়ে আসবে এবার। আমি সংক্ষেপে বললাম, তপন দার দোকানে পাঁচ টাকা বাকি পড়ে আছে অনেকদিন, সেটাই দিতে আসলাম। মেয়েটি ফিক করে হেসে উঠল। আমার মিথ্যা বলাটা সে যে স্পষ্ট ধরে নিয়েছে এটা ভেবেই অস্বস্তি হচ্ছে এবার। আমি হনহন করে হাঁটা শুরু করলাম। পিছন থেকে মোহিনী ডেকে বলল, ‘অনিন্দ্য দা ফিরবার পথে এক কাপ চা খেয়ে যাওয়ার সময় হবে তোমার?’ আমি হিসেব করে দেখলাম তিনটাকা বাঁচানোর জন্য খানিকক্ষণ বসে যাওয়াই যায়। আমি ‘আচ্ছা’ বলে সামনের দিকে হাঁটা শুরু করলাম।

আমার বারবার মনে হচ্ছিল, পিছন থেকে একজোড়া চোখ আমাকে এখনও দেখে যাচ্ছে নীরবে। আচ্ছা, মাছিদের মত মানুষের মাথার পিছনে দুটো চোখ থাকতে পারত না! কত সহজে পিছনে ঘটে যাওয়া সমস্ত দৃশ্য মানুষের চোখের পর্দায় ভেসে উঠত। সৃষ্টিকর্তা সমস্ত সুবিধা দিয়ে কাউকেই হয়ত দুনিয়াতে পাঠান না। যেমন এই মোহিনী। কি নেই তার। যার চোখে মুখে সৌন্দর্য উছলিয়ে পড়ছে, যৌবন উপচে পড়ছে শরীরের ভাঁজে অথচ তার জীবনেও মিশে আছে এক অন্ধকার, এক কালিমার অধ্যায়। বিয়ের রাতেই বিধবার সাঁজ নিতে হয়েছে তাকে। আর বিয়ে হয়ে ওঠেনি। বিধবার এ সমাজে বিয়ে হওয়ার চল নেই। অথচ বয়স তো এতটুকুই। সেই থেকে বাড়িতেই বাপ ভাইয়ের চোখের কাঁটা আর আশেপাশের মানুষের লোভের বস্তু হিসেবে টিকে আছে এখনো। জীবনকে কে পূর্ণভাবে দেখতে চায় না!

হাঁটতে হাঁটতে মোড়ের মাথার তপন দার দোকানে পৌঁছে গেলাম। তপন দা বললেন, ‘বস অনি, কতদিন পর এলি এদিকে’?-কাজের খুব চাপ দাদা, সময় পাই না। কি করছিস এখন?-ঐ বেকাররা যা করে বেড়ায়, কাজ নেই বলেই তো বেশী কাজ। নে, চা খা

আমি চা হাতে নিয়ে দোকানটা দেখছি। বেশ গুছিয়েছে। আগেরবার এসে গোটা দুই বিস্কুটের কার্টুন, একটা চানাচুরের বয়াম, কিছু লজেন্স আর চা-র কেটলি দেখেছিলাম। এবার অনেক বেড়েছে আগের থেকে। বোঝাই যাচ্ছে তার ব্যস্ততা দেখে, কথা বলার অবসর নেই। তবুও মুখ থেমে নেই। কারুর না কারুর সাথে চলছেই।

চায়ের দোকানে কিছু মানুষ আমাকে বেশ খুঁটিয়ে খুঁটিয়েই দেখছিল। তারপর এক প্রবীণ গোছের লোক কৌতুহল সংবরন করতে না পেরে বলে উঠল, ‘কে হে বাপু, তোমাকে এই গ্রামে আসা যাওয়া করতে দেখছি। মতলবটা কি’? আমার ঐ বৃদ্ধের ওপর এতটুকুন রাগ হয়নি। চা’র দোকানে অন্য এলাকার কেউ এসে চা খেতে পারবে না এমন কোন কথা তো নেই। কিন্তু এরা সবাই কি আন্দাজ করছে তা আমি জানি। আমার শুধু মনে হচ্ছিল, এক পা শ্মশানে রেখেও মানুষ কত স্বাভাবিকভাবে তার জীবন কাটিয়ে দেয় যৌবনের দীপ্তি ভিতরে পুষে রেখে, সমাজের ওপর প্রভুত্ব করার এ কি লোভ চেপে আছে তাদের ভিতর। আমি তাকে বললাম, ‘এ পাড়ার মুকুল আমার কলেজের বন্ধু। মাঝে মাঝে ওর কাছেই আসা হয় এজন্য’। এতক্ষণ অনেক মানুষই যার যার কাজে ছিল। এবার সবার মুখ আমার দিকে এসে পড়ল একবারে। পাশ থেকে কে একজন বলে উঠল, ‘তা বলি মশাই, মুকুল তো ঘর ছেড়েছে তা মাস দুই হল। এখন কার সাথে দেখা করতে আসা হল’? বলাবাহুল্য মোহিনীই হল মুকুলের ছোট বোন। আমি কিছু না বলে অপরাধীর ন্যায় চুপ করে রইলাম। চা খেতে ঢোকাটা যেন বড় অন্যায় হয়েছে এমনটা চোখেমুখে ফুটিয়ে তুলে বসে রইলাম। পিছন থেকে, পাশের থেকে একের পর এক মোহিনীর নামে কুৎসা গাওয়া শুরু হল। এ অশ্রাব্য কথা কলমের ডগায় ফুটিয়ে তোলাও যায় না। ভাবতেও ঘেন্না হয় এরাই মোহিনীর দাদা, কাকা, জেঠা, দাদুরা। প্রচণ্ড রকম গা ঘিনঘিনে  অস্বস্তি নিয়ে বেরিয়ে আসলাম দোকান থেকে।

এক কাপ চা খাওয়ার বড় ইচ্ছে জাগল। ভিতরটা  বিষিয়ে গেলে ঐ কয়েকটা চিনির  দানায় আর কি তা মিষ্টি করা যায়! আমি বাড়িতেই ফিরতাম হয়ত কিন্তু সামনে আবার মোহিনীর সাথে দেখা হয়ে গেল। সে বলল, ‘আমি ঠিক জানতাম চোখ ফাঁকি দিয়ে চলে যাওয়া হবে। তাই স্নানটা সেরেই দাঁড়িয়ে আছি চা-র জল গরম করতে দিয়ে। একটু কষ্টে করে বসে যেও’। তার বলায় অনুনয় ছিল না  আদেশ তা আমি আজো বুঝে উঠতে পারিনি। কিন্তু এতটুকু বুঝেছিলাম তাকে অগ্রাহ্য করার ক্ষমতা আমার ছিল না। মোহিনী কখনো সাজত না, আজো সাজেনি। আটপৌরে শাড়ি পরা, কপালে ছোট্ট কালো টিপ। না চোখে কাজল ছিল না পায়ে কোন নুপুর। কিন্তু সেই অত্যাশ্চর্য সুন্দরীর দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারে এমন কেউ বোধ হয় পৃথিবীর বুকে ছিল না। আমি তাকে অনুসরণ করে বাড়ির ভিতর অবধি গেলাম।

খেজুর পাতার চাটাইয়ের ওপর আমাকে সে বসতে বলল। আমি দূরের উঠোনে বসে থাকা শালিক দেখছি। মোহিনী বলল, ‘অনিন্দ্য দা, শালিক দেখছ বুঝি? দুটো শালিক দেখলে ভাল হয় শুনেছি, কিন্তু ও যে একা! তাহলে কি তোমার ও! না তা হওয়ার না। কিছু হতে গেলে আমারই আগে হতে হবে। কুসংস্কারে বিশ্বাসী এই সরলা কিশোরীর দুচোখ বেয়ে তৎক্ষনাৎ জল গড়িয়ে পড়তে লাগল। আমি তাকে বললাম, এমন কিছুই হবে না। ও কি ইচ্ছে করলেই আরেকটা জুটিয়ে নিয়ে আসতে পারত। পারত না! তাই তো একা এসে বসেছে। ওরা তো কথা বলতে পারে না। আর যারা কথা বলতে পারে তারাও এমন বিশেষ কি করল বল তো! হঠাৎ মোহিনীর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি, ওর চোখমুখ রক্তবর্ণ হয়ে উঠেছে। আমি বুঝলাম, হঠাৎই কথার ফাঁকে একটা ভুল বলে ফেলেছি।’

আমরা চাইলেই সবাইকে আপন বলতে পারি না। চাইলেই কাউকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে পারি না। চাইলেই কারুর কোলে অসংকোচে মাথা রাখতে পারিনা। আমরা সংস্কার আর সংকীর্ণতার কাছে পুরোপুরি বন্দী। এসব আর ভাবতে ইচ্ছে করছে না এখন। মোহিনী চা নিয়ে এসেছে এতক্ষণে। যাক, কিছুটা চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারলাম। মোহিনী বলল, ‘চা নাও অনিন্দ্য দা। ঠান্ডা হয়ে যাবে। অল্প আগুনে তাপানো চা তো, অল্পক্ষণেই ঠান্ডা হয়ে যাবে। শুধু গন্ধটা থেকে যাবে। ঠান্ডা জলে মিশে থাকা লিকারের উৎকট গন্ধ কেউ কি হজম করতে পারে বল’? আমি বড্ড লজ্জিত হলাম কথাটায়। শেষ চুমুকটাও দ্রুত দিয়ে ওঠে পড়লাম। বড্ড ইচ্ছে করল আমার বিয়ের নিমন্ত্রণটা দিয়ে আসতে। নাহ্ দিলাম না। মোহিনী ডেকে বলল, ‘অনিন্দ্য দা তোমার যে মেয়েটার সাথে বিয়ে হচ্ছে সে কি আমার চেয়ে সুন্দরী’? এই মেয়ে কি করে আমার মন পড়ে ফেলে আমি জানি না। আমি কোন উত্তর না দিয়ে নিঃশব্দে ছুটে বেরিয়েছিলাম ঐ বাড়ির থেকে। চারপাশের বাতাস যেন কারো কান্নায় ভারী ওঠে উঠছিল সেদিন।

বাড়িতে বিয়ের তোড়জোড় চলছে খুব করে। অথচ আমার বিয়েতে মন নেই। আমার মন পড়ে আছে ঐ দূর গ্রামের সৌন্দর্যের কাছে। সংসার জীবনে আটকে ফেলার চক্রান্ত চলছে আমাকে নিয়ে। বাড়িতে জমা হওয়া অজস্র লোক, ব্যান্ড, বাজনা, গান-সবকিছুতে আমার দম আটকে আসছে। সবার মুখ হাসিখুশী। জানালা দিয়ে মুখ দিয়ে দূরের আকাশ দেখছি। উন্মুক্ত আকাশ। হঠাৎ দেখি গেটের বাইরে বটের ছায়ায় মোহিনী দাঁড়িয়ে। আমি নিঃশ্বাস ছাড়ার মত উপযুক্ত জায়গাটা পেলাম। আমি দৌড়ে ছুটে গেলাম তার কাছে। সে তার হাতের মুঠো থেকে পায়ের নুপুর আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল, অনিন্দ্য দা আমার নিজের বলতে এই পায়ের নুপুর টা ছাড়া আর কিছু নেই। তোমাদের খুশী করার মত ক্ষমতা আমার নেই। তোমরা ভাল থেকো’। এতটুকুন বলেই সে দৌড়ে চলে গেল। আমার কথা বলার কোন সুযোগ না দিয়েই। আমি হতবিহ্বলের ন্যায় সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকলাম নুপুর নিয়ে।

বিকেলের দিকে সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে গেলাম ওপাড়ায় একবার। গিয়ে দেখি দরজা বন্ধ। কেউ নেই। এত পথ হেঁটে আসার পর একটু বসার জায়গা এ গ্রাম আমাকে করে দিল না। একটা ছোট্ট কাগজে মোহিনীকে বধুর সাজে সাজতে বললাম। আমি ফিরে আসলাম তারপর। সকাল সকাল বিয়ের তোড়জোড়ে উঠে পড়তে হল। কত কাজ বাকি সবার! অথচ আমাকে কেউ কোন কাজ বলছে না। বিষয়টা দারুণ। আমার আজ অখন্ড অবসর। আমার মন পড়ে আছে ঐ দূর গ্রামের অভাগীর উপর, যার চারপাশ জুড়ে নিঃসঙ্গতা আর কলঙ্কের ছাপ। আমি সাজলাম বরের সাজে। দূরের গ্রামের এক মোহিনর আজ লাল বেনারসি পরবে,পায়ে আলতা দেবে, সিঁদুর উঠবে কপালে, শাঁখা আর চুরি ঠুনঠুন করে বাজবে। আমি বেরিয়ে পড়লাম সবার অগোচরে। পৌঁছেও গেলাম মোহিনীর বাড়ির সামনে কিছুটা সময়ের ব্যবধানে। আমি বাড়ির সামনে গিয়ে দেখি, দরজা খোলা অথচ কোন সাড়াশব্দ নেই। আমি মোহিনী বলে ডাকলাম কয়েকবার। কেউ ডাক শুনল না। আমি ঘরে ঢুকে পড়লাম। মোহিনী আজ নতুনরুপে সেজেছে। আমার কল্পনার থেকেও সুন্দর হয়েছে সে। সে বলল, ‘অনিন্দ্য দা আজ আমি গঙ্গার প্রবাহ শুনতে পাচ্ছি বুকের মধ্যে। তুমি একটু কান পেতে শুনবে এ তৃষিত হৃদয়ের কথা। বহুকাল অপেক্ষা করেছে এই মুহুর্তের জন্য। আমি জানতাম অনিন্দ্য দা, তুমি বলেছ যখন তুমি আসবে। দেখ আমি সেজেছি তোমার জন্য, শুধু সিঁথিটা ফাকা রেখেছি তোমার জন্য। তুমি ঐখানটা ভরিয়ে দিলেই আমার এ জীবনের সমস্ত কিছু পাওয়া হবে। আমি বিদায় নিতে পারব নিঃসংকোচে। এক চিমটি সিঁদুর তার কপালে তুলে দিয়ে বললাম, ‘এবার যাবে তো আমার সাথে নতুন কোন ঠিকানায়’? মোহিনী উত্তর দিল না। উদভ্রান্তের মত কি যেন খুঁজে ফিরছিল চারদিকে। সে বিড়বিড় করে বলল, তোমার হাতের ওপর মরতে পারা এ কি কম সৌভাগ্যের! আজ আমি সৌভাগ্যবতী হলাম। আমার চরিত্রে কোন দোষ ছিল না অনিন্দ্য দা। তোমার হাতের ওপর আর কি কেউ….’ আর কথা বলেনি মোহিনী। খাটের নিচে গড়াগড়ি খাচ্ছে ইঁদুর মারা ওষুধের খালি শিশিটা। আমি দীর্ঘক্ষণ কোলের উপর তাকে নিয়ে বসে রইলাম হতভম্বের মত।তাকে কোলে করে নিয়ে আসলাম আমার বিয়ের মণ্ডপে।

তার শেষকৃত্যের ওপর আমার বিয়ে হবে। তার শ্মশানে মালা ঝুলবে আর আমার ফুলশয্যা হবে। বাড়ির লোকজন থামাতে চেয়েছিল আমাকে খুব করে। কিন্তু আমার মাথায় তখন মোহিনী নৃত্য চলছে। আমি থামতে পারি নি। সেদিন তার শেষকৃত্যে অনেক রাত গড়াল। বিয়েতে বসা হয়ে ওঠেনি আর।

আজ বহুবৎসর হল ঐ রাস্তা দিয়ে হাঁটছি। বারবার হাঁটি পরিচিত গন্ধের লোভে। বাতাসের সাথে আনমনে কথা বলে চলি। লোকে আমাকে পাগলও বলে। আজও হাঁটছি। পাশ থেকে এক দমকা হাওয়া এসে যেন বলল, ‘অনিন্দ্য দা এবারের লগ্নে নিজেকে গুছিয়ে নাও। আর কতদিন এভাবে থাকবে! ঐ পাড়ার অরুন হালদারের মেয়ে তিথিকে সময় পেলে একবার দেখে এসো। লক্ষ্মী প্রতিমার মুখ। তোমার অপছন্দ হবে না।’ আমি খেয়ালের বশেই ঠিকানা খুঁজে ঐ দিকটা গেলাম। দশ-বারো বছরের এক ফুটফুটে মেয়ে যেন সম্পূর্ণ এক মোহিনী হয়ে উঠেছে। আমি মুগ্ধতা নিয়ে তাকে দেখছি। তার কাছে যেতেই সে বলল, ‘তুমি এসেছো অনিন্দ্য দা, আমি সেই কবে থেকে অপেক্ষা করে আছি…….।’

লেখক : খুলনা রায়েরমহল অনার্স কলেজ’র চতুর্থ বর্ষের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী

 

খুলনা গেজেট / এআর




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!