খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেছেন, ৭ই মার্চ বাঙালি জাতির আত্মমর্যাদা, ঐতিহ্য, গর্ব ও অনুপ্রেরণার দিন। এই দিনে বঙ্গবন্ধু আমাদের অধিকার আদায়ের কৌশল শিখিয়েছেন। আমাদের কথা বলতে শিখিয়েছেন। দেখিয়েছেন আত্মমর্যাদার সাথে মাথা উঁচু করে বাঁচার পথ। যে পথে চললে থাকবে না কোন জঞ্জাল। থাকবে শুধু উন্নয়ন আর চলা ও বলার স্বাধীনতা। এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে তৎকালীন সাড়ে ৭ কোটি বাঙালি নিরস্ত্রাবস্থায় শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলো। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষণ বিশে^র সকল নেতাদের ভাষণকে ম্লাণ করে দিয়েছিলো। তাঁর ভাষণের মধ্যদিয়ে এদেশের মানুষ তাদের নতুন জীবন এবং স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলো। সেই স্বপ্নে বিভোর হয়ে আবাল বৃদ্ধ বণিতা, যুবক যুবতী, তরুণ তরুণী মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলো। তাদের সেই ঋণ বাঙালি জাতি কোন দিন শোধ করতে পারবে না। তিনি আরো বলেন, ৭১-এ যেমন রাজাকার আলবদর ছিলো আজও তাদের প্রেতাত্মারা সমাজ রাষ্ট্রে উন্মুক্ত ভাবে ঘোরা ফেরা করছে। আর সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্ষতি সাধনে নানা কুটকৌশল করে ক্ষতি সাধণ করছে। তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। সে লক্ষ্যে দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দলীয় কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতি বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় সভায় বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ কামাল, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফারুক হাসান হিটলু, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপ-দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মো. শামীম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ^াস ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যা. আলমগীর কবির, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, নুর মোহাম্মদ শেখ, এস এম আকিল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আইয়ুব আলী, ফেরদৌস হোসেন লাবু, আব্দুল হাই পলাশ, বাবুল সরদার বাদল, এ্যাড. ফারুক হোসেন শেখ, মো. শিহাব উদ্দিন, মুন্সি মো. সেলিম হোসেন, ইমরুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোতালেব মিয়া, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, এম এ নাসিম, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, নাসরিন আক্তার, এ্যাড. আব্দুল লতিফ, মুন্সি নাহিদুজ্জামান, মো. শাকিল আহমেদ, মেহজাবিন খান, মল্লিক নওশের আলী, মো. সেলিম হোসেন, মো. আজিম উদ্দিন, আকরাম সরদার, আব্দুস সালাম ফরাজী, জেসমিন সুলতানা শম্পা, তাসলিমা খাতুন লিমা, নাছিমা খান কাজল, মিনু রহমান, ইখতিয়ার উদ্দিন মোল্যা, মাহমুদুর রহমান রাজেস, সংকর কুন্ডু, রাহুল শাহরিয়ারসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে দিবসের শুরুতেই সকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, সকাল সাড়ে ৮টায় র্যালি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
খুলনা গেজেট/কেডি