খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ মাঘ, ১৪৩১ | ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  মারা গেলেন কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল
  রাজনৈতিক দলগুলো কম সংস্কার চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন : প্রেস সচিব
  তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি ৯ ফেব্রুয়ারি

হঠাৎ রোগির চাপ, শয্যা সংকটে খুলনা শিশু হাসপাতাল

সাগর জাহিদুল

শনিবার দুপুর ২ টা ৩০ মিনিট। খুলনা শিশু হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দৌঁড়াতে দেখা যায় রুবিয়া খাতুনকে। গত কয়েকদিন ধরে তার দেড় মাস বয়সী ছেলে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত। বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার ফয়লা গ্রাম থেকে এসেছেন বাচ্চাকে ডাক্তার দেখাতে। ডাক্তারী পরীক্ষার পর শিশুটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানানো হয় তাকে। দৌঁড়াদৌঁড়ির পরও সেখানে ভর্তি করাতে পারেননি শয্যা সংকটের কারণে।

করোনা লকডাউন পরবর্তী সময়ে খুলনা বিভাগসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে শিশুরা জ্বর, সর্দি, কার্শি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শয্যা সংকটের কারণে প্রতিদিন অর্ধশত রোগী বহি: বিভাগের ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়ে কেউ বাড়ি, কেউ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগ, আবার কেউ প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।

হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. প্রদীপ দেব নাথ জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চাপ বেড়েছে বেশ। জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা বেশী। প্রতিদিন বহি: বিভাগে ৮ শ’ শিশু রোগি দেখা হচ্ছে। পরামর্শ দিয়ে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর যেসব রোগীর অবস্থা খুবই নাজুক তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে পাঠানো হচ্ছে। শয্যা সংকট এর মূল কারণ। তাছাড়া আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য বেশীর ভাগ শিশু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে তিনি আরও জানিয়েছেন।

খুলনা শিশু হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান জানান, হাসপাতালে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে গত সপ্তাহ থেকে। প্রতিদিন যে পরিমাণ রোগী আসছে তাদের সংকুলান করতে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা। হাসপাতালে বেডের সংখ্যা মোট ২৭৪ টি। এর মধ্যে সকল বেডে রোগী রয়েছে। শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী আসছে বেশী।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোঃ কামরুজ্জামান শয্যা সংকটের কথা স্বীকার করেছেন। শতকরা ৭০ ভাগ রোগী নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসছে। কিন্তু মারাত্মক রোগীদের আমরা চিকিৎসা সেবা দিতে পারছি না শয্যা সংকটের কারণে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!