তেরখাদা উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ দুই ডাক্তারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে খুলনা সিভিল সার্জন ডা. শেখ শফিকুল ইসলাম। রবিবার (২৪ নভেম্বর) খুলনা গেজেটে ‘তেরখাদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগি আসেন ৮টায়, ডাক্তার ১০টায়”! ও গত বুধ্বার (৪ ডিসেম্বর) ‘তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিজেই যেন অসুস্থ্য!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর তিনি এই নোটিশ দেন।
এরপর তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানিয়া রহমান, সহকারি সার্জন ডা. অনিক কুন্ডু, ডা. ঋতু বিশ্বাসের অনুপস্থিতি, অপরিচ্ছন্নতাসহ বেশকিছু অনিয়ম পান। এর জবাব চেয়ে তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন তিনি।
জেলা সিভিল ডা. শেখ শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খুলনা গেজেটসহ বিভিন্ন পত্রিকায় তেরখাদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নানা অনিয়ম, অপরিচ্ছন্নতা, রোগিদের হয়রানি সহ বিভিন্ন সমস্যার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গত ৭ ডিসেম্বর সরেজমিন পরিদর্শন করি। পরিদর্শনের গিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ ২চিকিৎসকের অনুপস্থিতি, অপরিচ্ছন্নতাসহ বেশকিছু অনিয়ম পাই।তাদেরকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং ৩ কর্মদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, উপজেলার হাড়িখালী কমিউনিটি ক্লিনিক প্রায় সময়ই তালাবদ্ধ থাকার ফলে, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে খুলনা জেলা সিভিল সার্জন পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান কমিউনিটি ক্লিনিকের দরজায় ঝুলছে তালা।
অনুপস্থিত কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি নিলীমা মজুমদার।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর হাড়িখালী কমিউনিটি ক্লিনিকে বেলা ১১ টা ১০ মিনিটে ক্লিনিকটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে ক্লিনিকের সিএইচসিপিকে শো-কজ করা হয়েছে এবং ৩ কর্মদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি নিলীমা মজুমদার বলেন, ঐদিন আমি অসুস্থ্য থাকার কারনে সময়মতো ক্লিনিকে আসতে পারিনি।
খুলনা গেজেট/ টিএ