খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯০
  কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাসা থেকে ২ সন্তানসহ বাবা-মায়ের মরদেহ উদ্ধার
  কুমিল্লায় অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত বেড়ে ৭

সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল স্থানান্তরের পরিকল্পনা কেডিএর, শহরের বাইরে হবে ২টি

একরামুল হোসেন লিপু

খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) সোনাডাঙ্গা টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় যানজট নিরসনকল্পে শহরের বাইরে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিচ্ছে। পরিকল্পনায় রয়েছে নতুন ২টি টার্মিনাল নির্মাণের। ১টি রূপসা ব্রিজ টু জিরো পয়েন্টের মধ্যে এবং অন্যটি মোস্তর মোড় এলাকায় হতে পারে । ১ম টার্মিনাল থেকে দক্ষিণবঙ্গগামী পরিবহন, বাস, মিনিবাসগুলো বহির্গমন এবং নির্গমন করবে বাকী টার্মিনাল হতে যশোর রুটের দিকে পরিবহন, বাস, মিনিবাসগুলোর বহির্গমন এবং নির্গমনের জন্য।

কেডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রকল্প)মোরতোজা আল-মামুন খুলনা গেজেটকে বলেন, ঢাকা মেগাসিটি। সেখানে ৩টি টার্মিনাল আছে। আমাদের খুলনা মেগাসিটি না হলেও ২ টা টার্মিনাল করা যায় কিনা এটা আমাদের চিন্তা ভাবনা আছে। তিনি বলেন, খুলনা শহরের ডিরেকশন হয়ে গেছে দুই দিকে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর রুট ডিফারেন্ট হয়ে গেছে। বর্তমান টার্মিনালটি শহরের ভেতরে হওয়ায় কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। একটি টার্মিনাল শহরের বাইরে মোস্তর মোড় এলাকায় হতে পারে। যেখান থেকে যশোর রুটের গাড়িগুলো ও ঐ দিকে চলে গেল। আরেকটা টার্মিনাল রুপসা ব্রিজ টু জিরো পয়েন্টের মধ্যে হতে পারে। যেখান থেকে পদ্মা সেতু বা দক্ষিণবঙ্গের গাড়িগুলো জিরো পয়েন্টের হয়ে ঐদিক দিয়ে রুপসা ব্রিজ হয়ে চলে গেল। তখন জিরো পয়েন্ট থেকে এদিকে অর্থাৎ শহরের ভীতর গাড়ি ঢোকার আর প্রয়োজন থাকবে না। এটা আমাদের একটা প্ল্যানিং। এ ব্যাপারে এখনো কিন্তু আমরা কাগজ-কলমে কিছু করি নাই। এটা একটা পরিকল্পনা। আর এই পরিকল্পনা করে যেকোনো একটা প্রজেক্ট ফরমুলেট করে ইম্প্লেমেন্টেশন করতে কমপক্ষে ৭-৮ বছর সময় লেগে যায়। এ ব্যাপারে আমাদের ফিজিবিলিটি স্টাডি চলমান রয়েছে।

জানা যায়, বিভাগীয় শহর খুলনার একমাত্র বাস টর্মিনাল সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল। কাগজ কলমে যেটি কেডিএ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নামে লিপিবদ্ধ। ৩ যুগ পূর্বে ১৯৮৫ সালে ১২ একর জায়গার উপর খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) নগরীর অন্যতম প্রবেশদ্বার সোনাডাঙ্গায় টার্মিনালটি নির্মাণ করে। টার্মিনালটি নির্মাণের ৩৭ বছর পরে এসে টার্মিনালের পার্শ্ববর্তী সড়কগুলোর যানজট দেখা দেওয়ায়  সচেতন নগরবাসীর যে কারোরই মনে হবে প্রথমতঃ শহরের অভ্যন্তরে টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্তটি ছিলো ভুল। দ্বিতীয়তঃ টার্মিনাল নির্মাণে ছিলো যথেষ্ট পরিকল্পনার অভাব।

নগরীর অন্যতম এই এলাকার প্রবেশদ্বারটির শ্রীহীন এবং বেহাল অবস্থা দেখে নগরীতে আসা অতিথিরা খুলনা নগর সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা নিয়ে যায়। বাস টার্মিনালকে কেন্দ্র করে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকাটি দিনের অধিকাংশ সময় যানজট লেগে থাকে। প্রতিদিন শতশত বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন রুটে ছেড়ে যায়। আবার বিভিন্ন রুট থেকে বাসগুলো এসে টার্মিনালে অবস্থান নেয়।

টার্মিনালের সংলগ্ন সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচলে নেই কোন শৃঙ্খলা। টার্মিনালের কাছে বাসগুলো সড়কের দু’পাশে এলোমেলোভাবে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে যানজট তীব্রতর হয়।

নাগরিক নেতারা বলেন, শহরের বাইরে বর্তমান টার্মিনাল স্থানান্তরের চিন্তাভাবনা নিঃসন্দেহে একটি সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত হবে। ফলশ্রুতিতে এই এলাকার দীর্ঘদিনের যানজট থেকে নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘব হবে এবং এলাকাটি ও বিশৃঙ্খলা মুক্ত হবে। কেডিএ’র নিকট খুলনাবাসীর প্রত্যাশা যত দ্রুত প্রকল্প টি তৈরি করে এর বাস্তবায়ন দেখতে চায় খুলনাবাসী।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!