শার্শা উপজেলায় সেফটিক ট্যাংকি থেকে যুবতীর অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে নাভারন দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রামের জনৈক আহসান হাবিবের বাড়ির পশ্চিম পাশের ট্যাংকির ভেতর থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত ওই যুবতী যশোর পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থীর। তিনি কলারোয়া উপজেলার কাজিরহাট কাওরিয়া গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে জেসমিন আক্তার পিংকি।
এ ঘটনায় পিংকির প্রেমিক আহসান কবির অংকুরকে আটক করেছে র্যাব। তিনিও একই কলেজের শিক্ষার্থী। গ্রেপ্তার অংকুর শার্শার বুরুজবাগান গ্রামের আকবার আলীর ছেলে। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর র্যব ৬ এর কোম্পানী কমান্ডার এম নাজিউর রহমান।
জানা গেছে, সম্পর্কের অবনতির জেরে প্রেমিক অংকুর কৌশল করে ভিকটিমকে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। ১০ দিন আগে গলা কেটে হত্যা করে হত্যা করে ট্যাংকির ভেতর ফেলে দেওয়া হয়।
নাভারণ সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল-নাহিয়ান বলেন, আমরা শুক্রবার দুপুরে জানতে পারি যশোর থেকে নিখোঁজ জেসমিন আক্তার পিংকির মৃত দেহটি বুরুজবাগান এলাকায় তারই সহপাঠী আহসান কবির অংকুরের বাসাতে আছে। এ সময়ে চারিদিকে খোঁজাখুঁজির পরেও না পেয়ে আমরা সেফটি ট্যাংক খুলে নিখোঁজ মেয়েটির মরদেহ দেহটি খুঁজে পাই।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে প্রেমের সম্পর্ক ধরে তাকে এখানে আনা হয়। নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। লাশ গুম করার জন্য সেফটি ট্যাংকের ভেতর লুকিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় তার এক সহপাঠীকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলে তিনি আরও জানান।
খুলনা গেজেট/ এসজেড