প্রতিবন্ধী শাহিদা কর্মকর্তা পদে যোগ দিলেন অভয়নগর উপজেলার তালতলা এলাকায় অবস্থিত দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আকিজ জুট মিলে। ঝিকরগাছার শিমুলিয়া গ্রামে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শাহিদার হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা।
জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী শাহিদা খাতুন। তাঁর এক হাত, দুই পা নেই। তারপরও তিনি জীবনযুদ্ধ থেমে নেই। লেখাপড়া করে স্নাকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। শারীরিক বাধা জয় করে শিখেছেন সেলাই, হস্তশিল্পসহ বিভিন্ন কাজ। অবশেষে পেয়েছেন চাকরি। চাকুরী পেয়ে খুশিতে আত্মহারা শাহিদা।
জানা গেছে, বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জার উদ্যোগে আকিজ জুট মিলে এক্সিকিউটিভ কর্মকর্তা পদে চাকরি হয়েছে শাহিদার। গত ২৫ মার্চ যশোরের ঝিকরগাছার শিমুলিয়া গ্রামে এক অনুষ্ঠানে শাহিদার হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে রবিবার যশোরের অভয়নগরে আকিজ জুট মিলে এডমিন বিভাগের এক্সিকিউটিভ পদে যোগদান করেন অদম্য শাহিদা খাতুন। এসময় শাহিদার বড়ভাই কলিম উদ্দিন ও ছোটভাই টনি উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবন্ধী শাহিদা খাতুন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের মো. রফি উদ্দিনের মেয়ে । চাকরিতে যোগদানের পর শাহিদা খাতুন আকিজ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেখ নাসির উদ্দিননের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শাহিদা বলেন, ‘চাকরি পেয়ে আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। নিজেকে প্রতিবন্ধী হিসেবে কখনো ভাবিনি। নিজের পায়ে দাড়াতে চেয়েছি। তাই পড়াশুনার প্রতি আমার আগ্রহ অনেক বেশি ছিল। সমাজের যারা প্রতিবন্ধী আছে। তাদেরকে উদ্দেশ্যে করে বলি আপনারা বসে থাকবেন না। নিজের প্রতি আস্থা রাখবেন। সফলতা একদিন আসবেই। এই চাকরির সুবাদে আমি বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পারব। জীবনকে সামনে এগিয়ে নিতে পারব। আমার জন্য সকলে দোয়া করবেন।
এ ব্যাপারে আকিজ জুট মিলের নির্বাহী পরিচালক শেখ আব্দুল হাকিম বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সেখ নাসির উদ্দিনের নির্দেশে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিবন্ধী নিয়োগ কোটায় শাহিদা খাতুন এক্সিকিউটিভ কর্মকর্তা পদে যোগদান করেছেন। কর্মক্ষেত্রে সকল কাজে তিনি আমাদের সহযোগিতা পাবেন। বাং
লাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী শাহিদা খাতুন। তাঁর এক হাত, দুই পা নেই। সে জীবনযুদ্ধ থেমে নেই। লেখাপড়া করে স্নাকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। শিখেছেন সেলাই, হস্তশিল্পসহ বিভিন্ন কাজ। তাই আমাদের প্রতিষ্ঠান তাকে নিয়ে ভেবেছে। যে কারণে সে আজ বড় প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই