খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৫৮

সারাদেশে শিক্ষক নির্যাতনের বিরুদ্ধে নড়াইলে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতি‌বেদক, নড়াইল

নড়াইল মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্চনার অনাকাঙ্খিত ঘটনা ও দেশব্যাপি শিক্ষক লাঞ্চনার প্রতিবাদে নড়াইলে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার(৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টায় নড়াইল আদালত সড়কে ঘন্টাব্যাপি এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

‘নিপিড়নের বিরুদ্ধে নড়াইল’ সংগঠনের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সংগঠনের আহবায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা এস.বি.এম সাইফুর রহমান হিলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নড়াইল জেলা শাখার সভাপতি এ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস, জাসদ নড়াইল জেলা শাখার সভাপতি এ্যাডঃ হেমায়েত উল্লাহ হিরু, নড়াইল ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও নিপিড়নের বিরুদ্ধে নড়াইল সংগঠনের সদস্য সচিব এ্যাডঃ নজরুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডঃ ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান কায়েস, নারীনেত্রী রওশন আরা কবীর লিলি প্রমুখ।

এসময় বক্তারা নড়াইল মির্জাপুর কলেজে সংগঠিত ঘটনায় দোষী শিক্ষার্থী রাহুল দেবের শাস্তির দাবী করেন। এবং এই ঘটনার সময় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় তিব্র নিন্দা জানান এবং শিক্ষক লাঞ্চনায় জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেন। এছাড়া সারাদেশে শিক্ষক লাঞ্চনার তিব্র প্রতিবাদ জানান।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে

১)শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায়কে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করা
২)ঘটনায় উস্কানীদাতা শিক্ষদের চিহ্নিত করে চাকুরী থেকে অব্যহতি প্রদান করা।
৩)অবিলম্বে বর্তমান কলেজ পরিষদ বিলুপ্ত করা
৪)অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে সসন্মানে ও নিরাপত্তাসহ চাকুরীতে বহাল করা।
৫)বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা। এই ৫ টি দাবী জানানো হয়।

উল্লেখ্য গত ১৮ জুন মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে নূপুর শর্মার ছবি ব্যবহার করে লেখেন-প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রীরাম। এ পোস্ট নিয়ে অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষুদ্ধ জনতা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস এবং শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায়কে গলায় জুতারমালা পরিয়ে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছোঁড়ে। অধ্যক্ষ লাঞ্চনা ও পুলিশের কাজে বাঁধা দেয়ার ঘটনায় মির্জাপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মুরসালিন বাদি হয়ে অজ্ঞাত ১৭০/১৮০ জনকে আসামি করে নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!