সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে রাস্তার পাশে বাজারের ব্যাগের মধ্য থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতক শিশু ‘মহারাজ’কে দত্তক গৃহীতা শিক্ষক দম্পতির হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতককে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শিক্ষক দম্পতি শিখা রাণী চৌধুরী ও তার স্বামী বরুন কুমার পালের হাতে তুলে দেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুলা আল মামুন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ তৈয়েবুর রহমান। এখন থেকে তারাই হবেন তার পালক পিতামাতা।
এর আগে দত্তক গ্রহীতা দম্পতি উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে আদালতের রায় অনুযায়ী দত্তক গ্রহণের চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। নবজাতকের জন্য প্রতিমাসে ৩ হাজার টাকার ডিপিএস ও দুই বিঘা জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়া হবে বলে চুক্তিপত্রে উলেখ করা হয়েছে। চুক্তিপত্রে শিশুটির নাম রাখা হয়েছে ‘তিতাশ’।
প্রসঙ্গতঃ গত ৪ অক্টোবর রবিবার বিকালে কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের গোলখালী মহাশ্মশানের কাছে পড়ে থাকা একটি বাজারের ব্যাগ থেকে ওই নবজাতকটিকে উদ্ধার করেন কয়েকজন পথচারী।
শশিুটকিে দত্তক নয়োর জন্য ২৯ জন ব্যক্তি আবেদন জানান কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে। কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অীফসার মোঃ মনিরুজ্জামান রাসেলের নেতৃত্বে গঠিত শিশু কল্যাণ বোর্ড শিশুটি গ্রহনের জন্য করা এসব আবেদন শিশু কল্যাণ বোর্ড সাতক্ষীরা শিশু আদালতে পাঠান।
সাতক্ষীরা শিশু আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান সোমবার (১২ অক্টোবর) এক আদেশে শিশুটিকে শিক্ষক দম্পতি শিখা রাণী চৌধুরী ও তার স্বামী বরুন কুমার পালের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
আদালতের আদেশের কপি ও আনুসঙ্গিক কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়া মর্জিনা খাতুন ও খাদিজা খাতুনের পরিচর্যায় থাকা ১১ দিন বয়সের শিশুটিকে সুস্থ অবস্থায় নতুন মা শিখা রানীর কোলে তুলে দেন। এসময় শিখা রানীর পিতা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, এনটিভি ও যুগান্তর’র জেলা প্রতিনিধি সুভাস চৌধুরী, তার স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মিনতী চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/কেএম