যশোরে ওয়েল্ডিং শ্রমিক নয়ন চৌধুরী সাজু হত্যা মামলায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অভিযুক্তরা হলো, যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পুরাতন কসবা মিশনপাড়ার ছালছাবিল আহম্মেদ জিসান, হামিদপুর গ্রামের খায়রুল ইসলামের ছেলে মৌমিক হাসান পাভেল, পুরতন কসবা মিশনপাড়ার ইয়াসিন ইসলাম রাব্বি, পুলেরহাট মাহিদিয়া গ্রামের ইসতিয়াক হাসান রনি ও পতেঙ্গালী গ্রামের জয়নাল হোসেন শান্ত। মামলার চার বছর পর আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই যশোরের এসআই মনিরুল ইসলাম।
২০১৯ সালের ১৩ মার্চ রাতে শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্টান্ডে নয়ন চৌধুরী সাজুকে একা পেয়ে ৮/১০জন সন্ত্রাসী তার উপর হামলা চালায়। এসময় তাকে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকেলে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ১৬ মার্চ নিহতের বড় ভাই রতন চৌধুরী রাজু বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, দুই লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় তৎকালীন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিসানের নেতৃত্বে সাজুকে হত্যা করা হয়েছে। এ মামলায় আটক করা হয় আসামি জয়নাল হোসেন শান্তকে। মামলাটি প্রথমে তদন্তের দায়িত্ব পায় কোতোয়ালি থানার এসআই আমিরুজ্জামান। পরবর্তীতে মামলাটি যায় ডিবি পুলিশে। প্রথমে এসআই বিপ্লবের উপর তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তীতে তৎকালীন ডিবির ওসি মারুফ আহম্মেদ এ মামলার তদন্তভার গ্রহন করেন। তার বদলির পর মামলাটি যায় পিবিআই এর কাছে। প্রথমে ইন্সেপেক্টর আব্দুস সালাম, এরপর ইন্সেপেক্টর গৌতম চন্ত্র মন্ডল ও সর্বশেষ ইন্সেপেক্টর মনিরুল ইসলাম এ মামলার তদন্ত শেষ করে মঙ্গলবার আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সেপেক্টর মনিরুল ইসলাম জানান, মামলার আসামিদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন ছালছাবিল আহম্মেদ জিসান। এছাড়া পাভেল, রাব্বি ও রনি আদালতে আত্মসমর্পন করেছে। তদন্তেপ্রাপ্ত আসামি জয়নালকে ডিবি পুলিশ আটক করে। বর্তমানে তিনি ও পাভেল জামিনে রয়েছে। কারাগারে রয়েছে রনি ও রাব্বি।
উল্লেখ্য, যশোরের সাজু হত্যা দেশ জুড়ে আলোচিত হয়। এ মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে আসামি করায় নানা প্রশ্ন ওঠে। এক পর্যায় জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।
খুলনা গেজেট/কেডি