রোমাঞ্চ ছড়ানো শেষ ওয়ানডে জিতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজ জিতলো ৩-২ ব্যবধানে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ হারের পর প্রবল সমালোচনা হয়েছিল যুব দলকে নিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গেও যুবাদের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হলো। চার ম্যাচ শেষে সিরিজ ছিল ২-২ সমীকরণে। সোমবার বাংলাদেশ সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকা আগে ব্যাটিং করে ২১০ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে বাংলাদেশ ১৭ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে জয় পায়। জয়ের ব্যবধান আরও বড় হতে পারত যদি ব্যাটিংয়ে বিপর্যয়ে না পড়ত।
লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে আদিল বিন সিদ্দিক ও রিজওয়ান ৪০ রানের জুটি গড়েন। রিজওয়ানের (১৩) বিদায়ে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। তিনে নামা রিজান হাসান (৩) দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন। তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন আদীল ও আরিফুল ইসলাম। দুজন ৮৭ রানের জুটি গড়ে জয়ের পথ মসৃণ করে দেন। এ সময়ে আদীল তুলে নেন ফিফটি। আরিফুল সেই পথেই এগিয়ে যান।
জয়ের জন্য ১৫৪ বলে ৭৬ রান লাগত স্বাগতিকদের। হাতে ৮ উইকেট। ঠিক ওই সময়ে অতিথি দলের পেসার জেমস ভাঙেন আরিফুল ও আদীলের জুটি। তাতে বাংলাদেশ হোঁচট খায়। আদীল ৭০ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫৮ রান করে ফেরেন ড্রেসিংরুমে। এরপর নাঈম আহমেদ (১১), শিহাব জেমস (১৭) ও আশরাফুজ্জামান (৩) দ্রুত আউট হন।
উইকেট আগলে টিকে ছিলেন আরিফুল ইসলাম। ফিফটি তুলে নিয়ে ডানহাতি ব্যাটসম্যান জয়ের পথে এগিয়ে যান। মনে হচ্ছিল অধিনায়ক রাব্বীকে নিয়ে আরিফুল জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়বেন। কিন্তু রোমাঞ্চ ছড়ায় আরিফুলের বিদায়ে। ৭৬ বলে ৬৮ রান করে আরিফুল আউট হন। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হওয়া এ ব্যাটসম্যান ৫ চার ও ১ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি।
শেষ দিকে দলকে বিপদে পড়তে না দিয়ে জয়ের কাজ সারেন রাব্বী ও রাফি। রাব্বী ১৫ ও রাফি ৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বল হাতে ২৩ রানে ৪ উইকেট নেন লিয়াম আলডার ও জেমসের পকেটে যায় ৩ উইকেট।
এর আগে বাংলাদেশের বোলিংও ছিল দারুণ। ২টি করে উইকেট নেন বর্ষণ, রিজান ও রাফি। তবে সেরা ছিলেন রাব্বী। ৪৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। স্বাগতিকদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং তেমন ভালো হয়নি। কেবল রান করেছেন ডেভিড টিগার। ৮৯ বলে ৬৩ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। এছাড়া অধিনায়ক জেমস ৩২ ও রিচার্ড সেলেটওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান।
ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন আরিফুল। ৬৮ রানের সঙ্গে ১ উইকেটও পান তিনি। এছাড়া সিরিজ সেরা হয়েছেন রাফি। ১৪ উইকেটের সঙ্গে ৬৭ রান করেছেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদ