খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২৭ জুলাই, ২০২৪

Breaking News

  সিন নদীতে প্যারিস অলিম্পিকের জমকালো উদ্বোধন

সবার ওপরে সেই রিয়াদ, তলানিতে অধিনায়ক শান্ত

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নাজমুল হোসেন শান্ত যেন বাংলাদেশ দলের আক্ষেপে পরিণত হচ্ছেন আরও একবার। ২০২২ সালে সিলেট স্ট্রাইকার্সের জার্সিতে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন রাজশাহী থেকে উঠে আসা এই ক্রিকেটার। বছরটা তার কেটেছিল স্বপ্নের মতোই। এরপর ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসানের ডেপুটি হিসেবে। সেখানেই যেন নিজের ছন্দটা হারিয়ে ফেলেন শান্ত।

শান্তর পড়তি ফর্মের শুরু সেখান থেকেই। বিপিএলেও ছিলেন না চেনা ছন্দে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পর বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্স ভুগেছে তার অফফর্মের কারণে। বিশ্বকাপে শান্ত যাচ্ছেন সব অধিনায়কের মধ্যে সবচেয়ে কম স্ট্রাইকরেট নিয়ে।

বৈশ্বিক পর্যায়ে শান্তর স্ট্রাইকরেট তো কমেছেই। দেশীয়দের মধ্যেও নাজুক অবস্থায় বাংলাদেশের অধিনায়ক। বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের দলে যারাই ব্যাটারের ভূমিকায় যাচ্ছেন তাদের মধ্যে শান্তর স্ট্রাইকরেট সবচেয়ে কম। শান্তকে অবশ্য স্বস্তি দেবেন রিজার্ভে থাকা আফিফ হোসেন ধ্রুব। কেবল তার স্ট্রাইক রেটই শান্তর চেয়ে কম।

২০২২ সালের পর থেকে শান্তর পরিসংখ্যান রীতিমত ভয় ধরানো। এসময় দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। যেখানে তার গড় ২৬.৬৪। আর স্ট্রাইকরেট মোটে ১১৪.৪১। সারাবিশ্বে ওয়ানডাউনে নামা অন্য ব্যাটারদের তুলনায় শান্ত যে যোজন যোজন পিছিয়ে সেটা বুঝতে ‘রকেট সায়েন্স’ প্রয়োজন হয় না।

বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার নাম টপঅর্ডার। ওপেনিং পজিশনে খেলার মত তিন ক্রিকেটারের কারোর অবস্থাই সুখকর না। অফফর্মে থাকা লিটনের স্ট্রাইকরেট ১২৭.২১। দুই বছরের মধ্যে তার রানই সবচেয়ে বেশি। তবে বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় তিনি ঠিক কতখানি কার্যকর, সেটাও একরকম ভাববার বিষয়।

তানজিদ হাসান তামিম আরও একবার বিশ্বকাপে যাচ্ছেন অভিজ্ঞতার অভাবকে পুঁজি করে। জিম্বাবুয়ে সিরিজের ৫ ম্যাচই তার ভরসা। সিরিজে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার এই ব্যাটার। কিন্তু তার ওপেনিংয়ে ধারাবাহিকতার অভাব দলকে দুশ্চিন্তায় ফেলতে পারে। ৪০ গড় আর ১২৩ স্ট্রাইকরেট নিয়ে বিশ্বকাপে যাচ্ছেন তিনি।

সৌম্য সরকার নিজেকে সম্প্রতি অপরিহার্য করে তুলেছেন। তবে অতীত রেকর্ড তাকে খুব একটা সঙ্গ দিচ্ছে না। মাত্র ১৭.৫৭ গড় আর ১১৯ স্ট্রাইকরেট তার সম্বল।

তবে বাংলাদেশের ভরসা হতে পারে মিডলঅর্ডার। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাওহীদ হৃদয় আর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে গড়া এই মিডলঅর্ডার বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আশ্রয়। স্ট্রাইকরেট বা গড়, দুদিকেই সবার চেয়ে এগিয়ে রিয়াদ। নিজের ৮ম বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া রিয়াদের গড় ৪৭.৬৬ আর স্ট্রাইইকরেড় ১৪৮.৯৫।

যার অর্থ বাংলাদেশ দলের কারোরই টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইকরেট ১৫০ এর বেশি নেই। রিয়াদের পর আছেন হৃদয়। তার স্ট্রাইকরেট ১৩৪ ছুঁইছুঁই। ৩২ এর বেশি গড় নিয়ে সাকিবের স্ট্রাইকরেট ১২৯.৮৩।

ফিনিশার হিসেবে বাংলাদেশের ভরসা দুজন। রিশাদ হোসেন এবং জাকের আলী অনিক। দুজনেই যাচ্ছেন নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে। তরুণ দুজনের ওপর প্রত্যাশাও বেশি। এদের মধ্যে এগিয়ে রিশাদ। লেগস্পিনার এই অলরাউন্ডারের স্ট্রাইকরেট ১৩১.৬৬। আর জাকেরের স্ট্রাইকরেট ১২৮ এর কিছুটা কম।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!