খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং মাদক কারবারীদের সাথে কোন আপোষ নয়। এরা সমাজ ও দেশের শত্রু। এরা যে দলেরই ছত্রছায়ায় থাকুক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ২০০৯ সালে সরকারের নির্বাচনি অঙ্গিকার দেশকে যে কোন মূল্যে মাদকমুক্ত করা। খুলনাকে মাদকমুক্ত করতে যে কোন কঠোর পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবো না।
তিনি আজ (সোমবার) দুপুরে খুলনা ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি মিলনায়তনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং মাদকাসক্তি বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন মসজিদের খতিব ও ইমামদের অংশগ্রহণে বিভাগীয় পর্যায়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সিটি মেয়র বলেন, খুলনায় করোনার প্রথম ধাপে সকলের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় যে কোন সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে। শুধু আইন ও মোবাইলকোর্ট দিয়ে এর প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এজন্য সকলের সচেতনতা দরকার। তিনি বলেন, সরকার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় সবকিছু করছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক পরিধানের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ৭৫ শতাংশ প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে মাস্ক ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে মুসল্লীদের অবগত করানোর জন্য মেয়র ইমামদের প্রতি আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) হোসেন আলী খন্দকার, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নরস এর গভর্নর আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন, কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এসএম ফজলুল রাহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশেনের প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. মুহাম্মদ আবদুস সালাম, খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডাঃ মঞ্জুর মোর্শেদ এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা মোঃ আবু সালেহ পাটোয়ারী।
খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচলক মোঃ ইকবাল হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত জানান ইসলামিক ফাউন্ডেশেনর খুলনার বিভাগীয় পরিচালক শাহীন বিন জামান। এতে বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও ইমাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন। তথ্য বিবরণী
খুলনা গেজেট/এ হোসেন