বাংলাদেশ-পাকিস্তানের নিয়মরক্ষার ম্যাচটি শেষ ওভারে গিয়ে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে শেষ হয়েছে। উদ্বোধনী জুটিতে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের শতরানের পার্টনারশিপ দেখে মনে হয়েছিল একপেশে ম্যাচ জিততে যাচ্ছে পাকিস্তান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচে জয় তুলে নিতে পাকিস্তানকে খেলতে হয়েছে ১১৯ বল।
মোহাম্মদ নেওয়াজ ২০ বলে ৪৫ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। আসিফ আলি অপরাজিত থাকেন ২ রানে। পাকিস্তানের কাছে হেরে বাংলাওয়াশ ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে শূন্য হাতেই বিদায় নিল বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় ৮টায়। ম্যাচটি সরাসরি দেখায় টি-স্পোর্টস ও পিটিভি স্পোর্টস।
বাংলাদেশের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ১০১ রান সংগ্রহ করেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। বাবর ক্যারিয়ারের ২৯তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। হাসান মাহমুদের শিকার হওয়া আগে ৪০ বলে ৯ চারের সাহায্যে খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস। একই ওভারের পরের বলে রানের খাতা খোলার আগেই হায়দার আলীকে বোল্ড করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন হাসান।
অপরপ্রান্তে ক্যারিয়ারের ২২তম অর্ধশত তুলে নেন রিজওয়ান। দলীয় ১৬৫ রানে আউট হন রিজওয়ান। তার আগে ৫৬ বলে ৪ চারের সাহায্যে ৬৯ রানের ইনিংস উপহার দেন তিনি। বাকি কাজটুকু সারেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। তিনি ২০ বলে ১ ছয় ও ৫ চারে করেন ৪৫ রান। বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ ২টি ও সৌম্য সরকার একটি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৭ রানেই সৌম্য সরকারকে শাদাব খানে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান পেসার নাসিম শাহ। আগের ম্যাচে ২৩ রান করা সৌম্য আজ করেন মাত্র ৪ রান। দ্বিতীয় উইকেটে শান্তকে সঙ্গে নিয়ে লিটন দাস গড়েন ৩৪ রানের জুটি। দলীয় ৪১ রানে শান্তকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মোহাম্মদ ওয়াসিম। তার আগে শান্ত ১৫ বলে করেন ১২ রান। আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ১১ রান।
তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশকে পথ দেখান সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। এ দুজন মিলে করেন ৮৮ রানের জুটি। নিজের জন্মদিনে ক্যারিয়ারের সপ্তম অর্ধশত তুলে মোহাম্মদ নেওয়াজের বলে মোহাম্মদ ওয়াসিমের হাতে তালুবন্দী হন। তার আগে অবশ্য লিটন ৪২ বলে ২ ছয় ও ৬ চারের সাহায্যে ৬৯ রানের ইনিংস উপহার দেন।
লিটনের বিদায়ের পর সাকিব আল হাসান আফিফকে নিয়ে গড়েন ৩৮ রানের জুটি। দলীয় ১৬৭ রানে সাকিব নাসিম শাহর শিকারে পরিণত হন। তার আগে অবশ্য ক্যারিয়ারের ১২তম অর্ধশত তুলে নেন। তিনি ৪২ বলে ৩ ছয় ও ৭ চারে করেন ৬৮ রান। সাকিবের বিদায়ের পর দ্রুতই ফিরে যান ইয়াসির আলী রাব্বি ও আফিফ হোসাইন। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৬ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৭৩ রান। সোহান ২ রানে ও সাইফউদ্দিন ১ রানে অপরাজিত ছিলেন।