খুলনার রূপসায় আঠারোবেকী নদীর পাড়ের পাউবো’র রোপণকৃত গাছ কেটে মাটি ব্যবহারের অপরাধে তিন ইটভাটায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন ইট ভাটায় বিভিন্ন এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন আক্তার।
জানা গেছে, ইট ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে সরকারি বৃক্ষ কর্তন, নদীর মাটি খনন, রাস্তা দখল, ভূমি দখলসহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
সূত্র মতে, ভাটা মালিকেরা ইট তৈরি করার জন্য নদীর পাড় কেটে বড় বড় পুকুর খনন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক মুজিব শতবর্ষ পালন উপলক্ষে নদীর দু’পাড়ে রোপণকৃত বৃক্ষ কেটে ওই জায়গায় ইট শুকানোর পট তৈরি করেছে। ইট ভাটা মালিকেরা বহমান নদীর দু’পাড়ে ভাটার বর্জ্য, অর্ধ পাকা/আধলা ফেলে নদী ভরাট করে ভাটার জায়গা বৃদ্ধি করেছে। ছোট ছোট ইটের সোলিং দ্বারা নির্মিত সরকারি রাস্তা দখল করে ইট শুকানোর পট তৈরি করেছে। এ ছাড়া অবৈধ ট্রলী গাড়ীতে ইট বহন করে উপজেলার সর্বস্তরের রাস্তার ক্ষতি সাধন অব্যাহত রেখেছে। এ কারণে জনসাধারণের শতাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে মাঠে নামে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আলাইপুর ব্রীকস এর স্বত্তাধিকারী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুচ আলী শিকদারকে ৫ লাখ টাকা, আজাদ ব্রীকস এর স্বত্তাধিকারী ইউপি চেয়ারম্যান ইসহাক সরদারকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা এবং এএসবি ব্রীকস এর স্বত্তাধিকারী সিরাজ সিকদারকে ৫০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন আক্তার বলেন, খননকৃত আঠারোবেকী নদীর পাড়ের পানি উন্নয়ন বোর্ডের রোপণকৃত গাছ কেটে মাটি ব্যবহারের অপরাধে মাটি ও বালু ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ ধারার (ছ) ধারা মোতাবেক তিনটি ইটভাটাকে জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল ইট ভাটায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোন অবস্থাতেই কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
খুলনা গেজেট/এনএম