খুলনার রূপসা উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জুলুম-নির্যাতন ও দুর্দিনের মধ্যে আতংকে কাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা এ অবস্থায় দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী কাছে দাবি জানিয়েছেন।
রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কামাল উদ্দিন বাদশা সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২ টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, আমরা জুলুম নির্যাতন ভোগকারী আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা আজ বড় দুর্দিন ভোগ করছি। আমরা আমাদের সম্মান নিয়ে চলতে পারছি না। কথা বলতে পারছি না। এদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের যে আতংক, আমরা মুজিব সৈনিক, শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হয়েও তার থেকে বেশি আতংকে আছি।
বীরমুক্তিযোদ্ধা এ অবস্থার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুূর্শিদীকে দায়ী করেন। তিনি বলেন , সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণার পর পরই এমপি সালাম মূর্শিদীর প্রত্যক্ষ নির্দেশে খুলনা-৪ আসনের বিভিন্ন স্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচার, নির্যাতন, রক্তাক্ত জখম, তাদের সম্পদ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট ও দখল করেছে। গত ১৫,১৬,১৭ও ১৮ ফেব্রুয়ারি সংসদ সদস্য বিভিন্ন ইউনিয়নের সভায় প্রকাশ্যে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে যে সকল নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেছেন তাদেরকে অশ্লীল ভাষায় হুমকি দিয়েছেন। তিনি তাদের পদ পদবী খেয়ে ফেলার শুধু হুমকি দেন নাই, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে যে সমস্ত নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদেরকে অশ্লীল ভাষায় হুমকি দিয়েছেন। শুধু তাই নয় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষের নেতাদের সালাম দিতেও জনগণকে নিষেধ করেছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শিদী ক্ষমতা ও দায়িত্বের এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মীরজাফর, কুকুর ইত্যাদি বলে গালি দিচ্ছেন।
প্রকাশ্য সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিনকে রাজাকার আখ্যায়িত করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, বর্তমানে খুলনার রূপসা উপজেলার আওয়ামী লীগের নিবেদিত অধিকাংশ নেতাকর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান করায় ২০০১ সালের পর বিএনপি জামাত যেভাবে নির্যাতন করেছিলো বর্তমানে তারা সে ধরনের নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছেন।
তিনি এসব ঘটনায় দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে খুলনা- ৪ আসনের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে এসব বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
খুলনা গেজেট/কেডি