এক মাসেও খুলনার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক রিয়াজ শাহেদকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার আসামিরা ধরা পড়েনি। ঢাকায় প্রায় তিন সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর সম্প্রতি তিনি খুলনায় ফিরেছেন। কিন্তু আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আতংকে ভুগছেন বিএনপি নেতা রিয়াজ।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে বাড়ি ফেরার সময় নগরী বিএল কলেজের সামনে বিএনপি নেতা রিয়াজ শাহেদকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। গুলিটি রিয়াজের ডান হাতে এবং মোটর সাইকেল চালক রফিকুল ইসলামের পিঠে বিদ্ধ হয়। রিয়াজের ডান হাতের হাড়ে গুলি লেগে হাড় ভেঙ্গে ৬ টুকরা হয়ে যায়। প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে ৩ সপ্তাহ চিকিৎসাধীন ছিলেন রিয়াজ। প্রায় ৪২টি সেলাই নিয়ে বর্তমানে খুলনার বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
এদিকে হামলার পর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গুলির খোসা জব্দ করেন। ঘটনার দুই দিন পর ৮ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন রিয়াজ শাহেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম। মামলার পর প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও কোনো আসামিকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে রিয়াজ শাহেদ বলেন, আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়া হয়েছিল। সন্দেহভাজন কয়েকজনের নাম মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেছি। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। এখন এলাকায় ফিরলেও আতংকে আছি, কখন আবার আমার ওপর হামলা হয়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দৌলতপুর থানার এস আই রবি শংকর নাগ বলেন, কী কারণে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। সন্দেহভাজন আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগী যাদের নাম বলেছেন, তাদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
খুলনা গেজেট/হিমালয়