খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১০ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  রিসেট বাটন বলতে ৭১ এর গর্বিত ইতিহাস নয় দূর্নীতিগ্রস্থ রাজনীতি মুছে নতুন সূচনার কথা বলেছেন ড. ইউনূস : প্রেস উইং
  পিরোজপুরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে শিশুসহ ৮ জন নিহত

রমজানে চড়া দামে ফলমূল বিক্রি করছে ব্যবসায়িরা

ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি

খুলনা নগরীর যে কোনো বাজারে ঢুঁ দিলেই দেখা মিলছে গ্রীষ্মের রসালো ফল তরমুজ। কেউ কেউ মজা করে ‘গরমের আরাম’ বলেও অভিহিত করে এই মৌসুমি ফলটিকে। পুষ্টিগুণে ভরপুর তরমুজ বাজারে থাকলেও পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়ে দাম বেশ চড়া। তবে পাইকারি বা আড়তের থেকে খুচরা পর্যায়ে দাম একটু বেশিই চড়া।

আড়তে তরমুজ এখন যে দামে বিক্রি হচ্ছে, নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে তার প্রায় দ্বিগুণ দামে। শুধু তাই না আড়তে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি হলেও খুচরা ব্যবসায়িরা বিক্রি করছেন কেজি হিসেবে। এতে এক শ্রেণির ব্যবসায়িরা মোটা অঙ্কের মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছেন, অন্যদিকে ঠকছেন ভোক্তারা।

মৌসুমি ফল তরমুজের পাশাপাশি বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আপেল, কমলা, মাল্টা ও আঙ্গুর। মাসের অধিক সময় ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া এই ফলগুলোর দাম রোজাকেন্দ্রিক আরও একটু বেড়েছে। ফলে এসব ফল এখন স্বল্প আয়ের মানুষের অনেকটাই নাগালের বাইরে চলে গেছে।

তরমুজের মতো, আপেল, মাল্টা ও কমলা দামেও পাইকারি ও খুচরায় বড় ধরনের পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। আড়তে প্রতি পিস ১০-১২ কেজি ওজন এমন তরমুজ ১০০ পিস বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৫ হাজার টাকায়। ৪-৫ কেজি ওজন এমন তরমুজ ১০০ পিস বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায়। তার থেকে একটু বড় তরমুজ ১০০ পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায়।এদিকে আড়ত থেকে পিস হিসেবে কিনে খুচরা ব্যবসায়ীরা তা বিক্রি করছেন কেজি দরে। ১০-১২ কেজি ওজনের তরমুজের কেজি খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। এ হিসাবে ১০ কেজির একটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকায়, অথচ খুচরা ব্যবসায়ীদের এই তরমুজ কিনছেন সাড়ে তিনশ টাকার মধ্যে। আবার ৪-৫ কেজি ওজনের ১০০ পিস তরমুজ ৮-১০ হাজার টাকায় কিনে খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে। এতে ৫ কেজির একটি তরমুজের দাম খুচরাই পড়ছে ২০০-২৫০ টাকা। অথচ আড়ত থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা এই তরমুজের পিস কিনছেন ১০০ থেকে ১২০ টাকা দিয়ে।

ফুলবাড়ীগেট বাজারের তরমুজ বিক্রি করা কামরুল মিয়া বলেন, তরমুজের ভরা মৌসুম এখনো শুরু হয়নি। তবে বাজারে ভালো মানের পর্যাপ্ত তরমুজ আসছে। আর ১০-১৫ দিন পর বাজারে তরমুজের সরবরাহ অনেক বেড়ে যাবে। ওই সময়ের তরমুজ অনেক মিষ্ট ও লাল হবে। তবে রোজার কারণে বাজার আরও কয়েকদিন চড়া থাকবে বলে তিনি জানান ।

এদিকে তরমুজের পাশাপাশি বাজারে আপেল, আঙ্গুর, কমলা, মাল্টা বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা আপেলের কেজি বিক্রি করছেন ১৮০ থেকে ২২০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কমলা। মাল্টার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। লাল আঙ্গুরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা ও সবুজ আঙ্গুর বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। অন্যদিকে আড়তে আপেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে। মাল্টার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। একইভাবে কমলা ১২০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি করছেন আড়তদাররা। লাল আঙ্গুরের কেজি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা ও সবুজ আঙ্গুরের কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

ফলের দামের বিষয়ে শিরোমনির ফলবিক্রেতা মোঃ আকরাম হোসেন বলেন এখন কমলার সিজন না। তাই বাজারে কমলার সরবরাহ কম। এ কারণে দাম একটু বেশি। আর মাল্টাও আমদানি হচ্ছে কম। আপেলের সরবরাহও তুলনামূলক কম। আবার রোজা চলছে ।

পথেরবাজারে ১৯০ টাকা কেজি কমলা ও ২০০ টাকা কেজি সবুজ আপেল বিক্রি করা জামাল বলেন, রোজার কারণে কয়েকদিন ফলের বাজার অনেক চড়া। আড়তে গিয়ে ফল দরদাম করে কেনার মতো নেই। দরদাম করতে গেলে কোনো কোনো ব্যবসায়ী বলে বসেন- যান আপনার কাছে ফল বিক্রি করবো না। এখন দাম বেশি হলেও আমাদের ধারণা ১৫ রোজা যাওয়ার পর সব ধরনের ফলের দাম কমবে।

 

খুলনা গেজেট/কেএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!