রংপুরের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের ১২তম ওভার পর্যন্ত টেবিল টপারদের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছিল বরিশালের ব্যাটাররা। ম্যাচে তাদের আধিপত্য এতটাই ছিল যে মনে হচ্ছিল সংগ্রহটা যেকোন সময় দুইশ ছাড়াবে। তবে এরপরই বরিশালের ত্রাস হয়ে আসলেন আবু হায়দার রনি। তার এক ওভারেই তিন ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিলেন তামিমদের কাছ থেকে। এরপরের দুই ওভারেও আক্রমণে এসে বরিশালকে আরো ক্ষতবিক্ষত করেছেন রংপুর রাইডার্সের এ পেসার । তাতে প্লে অফের দৌড়ে এগিয়ে যাওয়ার পথে ভালো পুঁজি পেল না বরিশাল।
চট্টগ্রামে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করেছে বরিশাল। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১২ রান খরচায় একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন আবু হায়দার রনি। বরিশালের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেছেন কাইল মেয়ার্স।
শুরুতে ব্যাট করতে এসে বরিশালের দুই ওপেনার তামিম ও ব্যান্টন দলকে ভালো শুরু এনে দেন। ২০ বলে ৩৩ রান করে তামিম সাকিবের করা প্রথম বলেই ফিরেন। এরপর তিনে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকেন মেয়ার্স। এই ক্যারিবিয়ান টম ব্যান্টনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেন। একসময় মনে হচ্ছিল বরিশাল সহজেই ২০০ রান পার করবে।
২৪ বলে ২৬ রান করে ব্যান্টন ফেরেন নিশামের বলে এরপরই মূলত পথ হারায় বরিশাল। এরপরের ওভারেই ধ্বস নামে বরিশালের ইনিংসে। রনির ১৩তম ওভারে একে একে সাজঘরে ফেরেনন মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার ও মেয়ার্স।
সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বরিশাল। পরের দুই ওভারে আরও দুই উইকেট নিয়ে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন রনি। যা এবারের বিপিএলে কোনো বোলারের সেরা ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ওবেদ ম্যকয় ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ব্যাটে দেড়শো পার করে বরিশাল।
রনি ছাড়াও হাসান মাহমুদ নেন দুই উইকেট। অন্যদের মধ্যে সাকিব ও নিশাম নেন একটি করে উইকেট।
খুলনা গেজেট/ এএজে