যশোর হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক ডা. এ কে এম মহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের ২১ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৬ শিক্ষার্থীর সনদপত্র নিজ হেফাজতে রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে কলেজ অধ্যক্ষ ডা. হাফিজুর রহমান তার বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত ডা. এ কে এম মহিদুর রহমান শহরের ঘোপ জেল রোডের বাসিন্দা।
মামলায় অধ্যক্ষ উল্লেখ করেছেন, ডা. এ কে এম মহিদুর রহমান ১৯৮৩ সাল থেকে ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর পর্যন্ত হোমিওপ্যাথি
মেডিকেল কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদে কর্মরত ছিলেন। কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি ১০ বছরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণ বাবদ মোট ৩৬ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি ১৫ লাখ টাকা কলেজে ফেরত দিলেও বাকী ২১ লাখ টাকা দেননি।
এছাড়া ২০১২ সালের ডি এইচ এম এম পরীক্ষার চুড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ ৩৬ শিক্ষার্থীর সনদপত্র তিনি ২০২১ সালের ৩১ মার্চ বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড থেকে গ্রহণ করলেও আজও কলেজে জমা দেননি। এরপর চেষ্টা চালিয়ে তার কাছ থেকে আত্মসাতকৃত অর্থ এবং নিজ হেফাজতে রেখে দেয়া শিক্ষার্থীদের সনদপত্র উদ্ধারে ব্যর্থ হয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ কারণে তার বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ বি এম এস