যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া ১০ জনের মধ্যে ৭ জনকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে আদালত। এরা সবাই ভারত ফেরত। সোমবার(১০ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসান শুনানী শেষে তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। কোর্ট পরিদর্শক ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার দুপুরে তাদের আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
গত ২৩ ও ২৪ এপ্রিল ভারত থেকে আসা করোনায় আক্রান্ত ১০ পাসপোর্ট যাত্রীকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এরপর হাসপাতাল থেকে ৭ ভারত ফেরত করোনা আক্রান্ত ও স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত তিনজনসহ ১০জন পালিয়ে যান। বিষয়টি ২৬ এপ্রিল সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়। এরপর ওইদিন রাতেই পলাতক সকলকে শনাক্ত করে হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়।
এ ঘটনায় গত ৮ মে শনিবার যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ ২০১৮ সালের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের ২৫ (২) ধারায় পলাতকদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দাখিল করে। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত রোববার ওই ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সোমবার সকালে পুলিশ যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাদের মধ্যে সাতজনকে আটক করে আদালতে পাঠায়।
কোর্ট পরিদর্শক ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান বলেন, করোনার কারণে সীমিত পরিসরে আদালতের কার্যক্রম চলছে। আটককৃতদের বিষয়ে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে শুনানী শুরু করেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসান। শুনানী শেষে বিচারক আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। জামিনের কাগজপত্র সম্পন্ন করে তাদের বাড়ি ফেরানো পাঠানো হয়েছে।
জামিনপ্রাপ্ত সাতজন হলেন, ভারতফেরত যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দিপাড়ার বিশ্বনাথ দত্তের স্ত্রী মণিমালা দত্ত (৪৯), সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপপাড়া গ্রামের মিলন হোসেন (৩২), রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের নাসিমা আক্তার (৫০), খুলনা সদর উপজেলার বিবেকানন্দ (৫২), খুলনার পাইকগাছা উপজেলার ডামরাইল গ্রামের আমিরুল সানা (৫২), খুলনার রূপসা উপজেলার সোহেল সরদার (১৭) ও স্থানীয় রোগী যশোর সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা (১৯)।
এদিকে, অভিযুক্ত ভারতফেরত সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার শেফালি রানী সরদার (৪০), যশোর সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের একরামুল কবীরের স্ত্রী রুমা (৩০) ও শহরের ওয়াপদা গ্যারেজ এলাকার ভদ্র বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (৩৭) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলে এদেরও আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম।
খুলনা গেজেট/ এস আই