যশোর জেনারেল হাসপাতালের ইতিহাসে প্রথমবারের মত চালু হলো সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা। এ প্লান্ট থেকে প্রথমেই করোনা ও আইসিসিইউতে থাকা রোগীরা অক্সিজেন সাপোর্ট পাবে। পরবর্তীতে সকল রোগীদের সেন্ট্রাল অক্সিজেনের আওতায় আনা হবে। মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুর ১২টায় সেন্টাল অক্সিজেন সরবরাহ প্লান্টের উদ্বোধন করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আখতারুজ্জামান।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ভর্তিকৃত জটিল রোগীদের সার্বক্ষণিক অক্সিজেন সরবরাহ করার লক্ষ্যে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ছয় মাস আগে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর কার্যক্রম শেষ হয়। বিশেষ করে বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সার্বক্ষণিক অক্সিজেনের সাপোর্ট দিতে হয়। কিন্তু হাসপাতালে অক্সিজেনের পর্যাপ্ত মজুদ না থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যার কারণে বেশিরভাগ সময়ই করোনা আক্রান্ত ও জটিল রোগীদের খুলনা বা ঢাকায় স্থানান্তর করা হচ্ছিল। সম্প্রতি যশোরে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্ত রেকর্ড সংখ্যক হলেও হাসপাতালে অক্সিজেনের তীব্র সঙ্কট দেখা দেয়। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৯ মার্চ থেকে শুরু হলো সেন্ট্রাল অক্সিজেন কার্যক্রম। আর এ প্লান্ট থেকে পাইপের মাধ্যমে গোটা হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে। এরই মাধ্যমে রোগীদের সার্বক্ষণিক অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আখতারুজ্জামান জানান, এ অক্সিজেন প্লান্টটি চালু হওয়ায় রোগীরা আর অক্সিজেনের অভাবে কষ্ট পাবে না। প্লান্টটির ধারণ ক্ষমতা ছয় হাজার ঘন লিটার। একবার প্লান্টটি রিফিল করলে সাত থেকে নয় দিন অক্সিজেন সরবরাহ সচল থাকবে।
তিনি আরও জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রধান কারণ হচ্ছে অক্সিজেনের স্বল্পতা। হাসপাতালে থাকা অক্সিজেনের সিলিন্ডারগুলো থেকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন দিয়ে করোনা রোগীসহ জটিল রোগীদের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে যশোর থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে কয়েকশ’ করোনা রোগীসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্তদের। এ সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টটি কাজ শুরু করায় হাসপাতাল থেকে রোগীদের সার্বক্ষণিক অক্সিজেন দেয়া সম্ভব হবে। অক্সিজেনের অভাবে কোনো রোগীকের আর অন্য হাসপাতালে পাঠাতে হবে না।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ জানান, হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডে রোগীর শয্যার পাশে অক্সিজেনের সংযোগ রয়েছে। যাদের অক্সিজেন প্রয়োজন হবে, তারা সাথে সাথেই অক্সিজেন পাবে।
তবে, বর্তমানে করোনা ও আইসিসিইউ রোগীদের সেন্টাল অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে। পরবর্তীতে সকল রোগীকে সেন্টাল অক্সিজেনের আওতায় আনা হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই