খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  মহাখালীতে সড়ক-রেললাইন অবরোধ শিক্ষার্থীদের, সারা দেশের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন চলাচল বন্ধ
হতবাক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নাম সংগ্রহ করে ঢাকায় ফিরলেন

যশোর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে সভাপতি-সম্পাদক পদে রেকর্ড ৭৩ প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

উৎসব মুখর পরিবেশে যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। যশোরের ইতিহাসে এর আগে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোনো সম্মেলনে এতো লোকসমাগম ও সাজসজ্জা দেখা যায়নি। এরপরও আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে এবারের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৭৩ জন প্রার্থীর দেখা মিলেছে। এদের মধ্যে সভাপতি পদে ২৭ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৬ জন রয়েছেন।

কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি সম্মেলনকে পরিপূর্ণতা দিলেও ঢাকা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ দুটি পদে বিপুল সংখ্যক প্রার্থী দেখে হতবাক হয়েছেন। এ কারণে নেতৃবৃন্দ শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটি বা নতুন কমিটি ঘোষণা করতে পারেননি। নাম সংগ্রহ করে ঢাকায় ফিরে গেছেন।

বুধবার সম্মেলনের উদ্বোধনী প্রথম অধিবেশনের শেষ পর্যায়ে রাত ১০টার দিকে শীর্ষ দুটি পদে সভাপতি-সম্পাদক হতে চান এমন নেতাকর্মীদের হাত তুলে জানান দিতে বলেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এসময় সেখানে দেখা যায় সভাপতি পদে ২৭ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৬ জন তাদের আগ্রহের কথা জানান। তারা দাড়িয়ে তাদের প্রার্থীতা ঘোষণা দেন। দুটি পদে বিপুল সংখ্যক প্রার্থী দেখে কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু খেই হারিয়ে ফেলেন। আগামী নেতৃত্ব নিয়ে তিনি কি করবেন সে বিষয়ে তাৎক্ষনিক কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেননি। এরপর তিনি প্রার্থীদের নামগুলো কাগজে লিখে গ্রহণ করেন। আগামিতে যাচাই বাছাই করে কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান।

 

সূত্র জানায়, প্রার্থীদের এ পরিস্থিতিতে কমিটি গঠন প্রক্রিয়া খানিকটা ঝুলে গেলো। যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আগামী নেতৃত্ব ঢাকায় বসেই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ঘোষণা করবেন বলে অনেকে মন্তব্য করেন। এর মাধ্যমেই সাংগঠনিক কার্যক্রম কিছুটা বাধাগ্রস্ত হলো বলে অনেক নেতাকর্মী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। অনেকে বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগে বিগত দিনে যাদের কাউকে কোন কর্মকান্ডে দেখা যায়নি। তারা এখন দলীয় বড় পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তাদের সাথেপাছে কেউ না থাকলেও নিজেই নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করছেন। অথচ বিগত সভাপতি আসাদুজ্জামান মিঠু সব সময় সংগঠনটির হাল ধরে রয়েছেন এবং সকল কর্মকান্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

এদিকে, রাজনীতি সচেতন মহলের ধারণা, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কমিটি ঘোষণার সম্ভাবনা কম। সরকার বিরোধীদের ঠেকাতে সম্মেলনের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। রাজপথ দখলে রাখতে নির্বাচনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সারাদেশে এ রকম সম্মেলন আরও হবে। যদিও সংগঠনটির কোন সূত্র এ বিষয়ে পরিষ্কার কোনো ধারণা বা ইঙ্গিত দেয়নি।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!