যশোর পৌরসভার নির্বাচন থেকে সরে দাড়াবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। আগামী ৩১ মার্চ দেশের সর্বপ্রাচীন এ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে শাসক দলের হায়দার গনি খান পলাশের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপি দলীয় সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম।
দলীয় সূত্র জানায়, বুধবার বিকেলে বিএনপি যশোর জেলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, পৌরসভা নির্বাচন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় আলোচকদের প্রায় সবাই মতামত দেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। সে কারণে ভোটে থাকা না-থাকা একই কথা।
এ কারণে নির্বাচন থেকে বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থীকে সরিয়ে নেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানান জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষনা দেয়া হবে। বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মারুফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, কেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপি ইউনিয়ন পরিষদসহ আসন্ন সব নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু যশোর পৌরসভা নির্বাচনের তফশিল যেহেতু আগেই হয়ে গেছে, সে কারণে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত যশোর পৌরসভার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে কিনা, তা নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছিল। এ অবস্থায় জেলা বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অন্য নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা যশোর পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেয়া, না-নেয়া সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত স্থানীয়ভাবে নেয়ার কথা বলেন। তারই প্রেক্ষিতে যশোরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয় বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
সভায় দলের নেতৃবৃন্দ মতামত দেন, এখন সরকারের পতন, ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ নির্বাচন কমিশনের বিদায়ের দাবিই মুখ্য। এ দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য বিএনপি আন্দোলন করছে। ফলে যশোর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী রাখার কোনো যুক্তি নেই। বিএনপির একাধিক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিন সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে জেলা বিএনপির এ সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের জেলা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম। এতে দলীয় মেয়র প্রার্থী মারুফুল ইসলামসহ উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহক, দেলোয়ার হোসেন খোকন, মিজানুর রহমান খান, গোলাম রেজা দুলু, আব্দুস সালাম আজাদ, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, আনিসুর রহমান মুকুল প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি