যশোর জেলা পরিষদ হর্কাস মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না। আগুনে মার্কেটের ১৫টি দোকান পুড়ে অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দোকানের সামনে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। অগ্নিকাণ্ডে অনিশ্চয়তার মুখে পড়া দোকানিরা পরিবার-পরিজন নিয়ে টিকে থাকার জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। একইসাথে ফের ব্যবসা শুরু করতে তারা প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তারও দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে যাদের দোকান পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, আশিকুর রহমান মিনু মেম্বর, সাব্বির হোসেন, আকবর আলী, পলাশ, মিরাজুল ইসলাম, আব্দুল গফুর, প্রবীর, আবু তাহের, আমির হোসেন, নুরুল ইসলাম, কাইয়ুম আহমেদ, রিপন ও জাকির হোসেনসহ ১৫ জন। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে এসব ব্যবসায়ীদের কান্নারত অবস্থায় দেখা যায়। অনেক কষ্টে স্বপ্নের দোকান পরিচালনা করে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করছিলেন এসব ব্যবসায়ীরা। মুহূর্তে আগুন তাদের সব সম্বল নিঃশেষ করে দিয়েছে। এখন পরিবার নিয়ে তারা কোথায় গিয়ে দাড়াবে, এ চিন্তায় তারা ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, সব দোকান মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা। সামনে পবিত্র ঈদ উল ফিতর। সে জন্য তারা দোকানে নতুন পোশাক তুলেছিলেন। কিন্তু, প্রথম রোজার দিন থেকেই লকডাউন শুরু হওয়ায় কেউ দোকান খুলতে পারেননি। সব মালামালই দোকানে ছিল। বুধবারের আগুনে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদ হর্কাস মার্কেটের সভাপতি শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আগুনে মার্কেটের ১৫টি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়েছে। আরও প্রায় চারটি দোকান আংশিক পুড়ে গেছে। এসব ব্যবসায়ীকে একেবারে পথে বসিয়ে দিয়েছে ভয়ঙ্কর আগুন। লকডাউনের কারণে শহর ফাঁকা থাকায় প্রথমে আগুনের বিষয়টি কেউ বুঝতে পারেনি। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জেলা প্রশাসনসহ সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে যশোর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স এর সহকারী পরিচালক কামাল উদ্দিন ভূইয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে শর্টশার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে যশোর ও বাঘারপাড়ার ৫টি ইউনিট কাজ করেছে। এ কাজে তাদের ৩০ জন সদস্য অংশ নেন। আগুনে মার্কেটের ১৩টি দোকান পুড়ে ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ব্যবসায়ীরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন আগুনে তাদের প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।