যশোরের চাঞ্চল্যকর ইসরাফিল হোসেন মান্নাত হত্যা মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। চার্জশিটে নিহতের স্ত্রী ও ভগ্নিপতিসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে এ চার্জশিট জমা দেন ডিবি পুলিশের এস আই শামীম হোসেন।
স্বামীকে ফেলে মান্নাতের ভগ্নিপতি শাহ আলমের হাত ধরে পালিয়ে যায় সুমি। এসব বিষয় জানাজানি হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় মান্নাতকে।
চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন, নিহতের স্ত্রী শারমিন সুলতানা সুমি, শহরের পুরাতন কসবা মানিকতলা আবু তালেব সড়কের মৃত শফিয়ার রহমানের ছেলে ও নিহতের ভগ্নিপতি শাহ আলম ওরফে শাহা আলী রহমান মৃধা, সদর উপজেলার সুজলপুরের সলেমান হোসেনের ছেলে শামীম হোসেন, আব্দুর রশিদ শেখের ছেলে রায়হান শেখ, শফিকুল ইসলাম বাবুর ছেলে নয়ন হোসেন, শহরের বকচর চৌধুরীপাড়ার নজরুল ইসলামের স্ত্রী ও নিহতের শাশুড়ি সুফিয়া বেগম, সদর উপজেলার রামনগর খাঁপাড়ার সৈয়দ আলী খান ছমেদের ছেলে গাড়িচালক আল আমিন, মাহিদিয়া পশ্চিমপাড়ার হাবিবুর রহমানের ছেলে আল আমিন ও শহরের পুরাতন কসবা কাঁঠালতলার আবু তাহেরের ছেলে আরাফাত হোসেন রিফাত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শহরের বকচর বিহারী কলোনীর বাসিন্দা স্কেভেটর চালক ইসরাফিল হোসেন মান্নাতের স্ত্রী শারমিন সুলতানা সুমির সাথে ভগ্নিপতি শাহ আলমের পরকীয়া গড়ে ওঠে। পরে স্বামীকে ফেলে শাহ আলমের হাত ধরে পালিয়ে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস করেন সুমি। এরপর সেখান থেকে তারা যশোরে চলে আসেন ও উপশহরে ঘর ভাড়া নেন। এরই মধ্যে স্ত্রীকে খুঁজে পেতে শাহ আলমের গাড়িচালক আল আমিনের সাহায্য চান মান্নাত। কিন্তু আল আমিন বিষয়টি শাহ আলমকে জানিয়ে দেন। ফলে শাহ আলম শ্যালক মান্নাতকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
২০২০ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে সুমির সন্ধান দেয়ার কথা বলে গাড়িচালক আল আমিন কৌশলে শহরের কারবালা এলাকায় ডেকে আনেন মান্নাতকে। সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা শাহ আলমের ভাগ্নে শামীমসহ কয়েকজন পেছন থেকে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের মা আনোয়ারা বেগম ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৬/৭ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্তে হত্যায় জড়িত আরও ৫ জনের নাম উঠে আসে। চার্জশিটে উল্লিখিতদের আটক ও শারমিন সুলতানা, সুফিয়া বেগম ও শামীম হোসেনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি