যশোরে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ অভিযোগে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে। ঘরের ডেকোরেশন দেখানোর নামে ওই কিশোরীকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো, খোলাডাঙ্গার নূর আলীর ছেলে ইমামুল হক ছোট (২২) ও মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে লুৎফর রহমান (৬০)। বৃহস্পতিবার (৬ মে) ভোররাতে শহরের খোলাডাঙ্গা উত্তরপাড়া থেকে এ দুই জনকে আটক করা হয়।
নির্যাতিত কিশোরীর মা বুধবার (৫ মে) কোতয়ালী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় তিনি বলেছেন, তার মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। গত ৪ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মেয়েকে ইমামুল বাড়ির পাশে লুৎফর রহমানের চারতলা বাড়ির ডেকোরেশন দেখাবে বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর বাড়ির মালিক লুৎফর রহমানও তাকে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে এদিন ভোরে ইমামুল ও লুৎফরকে আটক করা হয়। এরপর তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নির্যাতিত কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। আদালতে তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহম্মেদ বলেন, এক কিশোরীর ধর্ষণ সংক্রান্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সে ধর্ষণের শিকার কি-না তা রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বলা সম্ভব নয়।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি