খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  মহাখালীতে সড়ক-রেললাইন অবরোধ শিক্ষার্থীদের, সারা দেশের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন চলাচল বন্ধ
সন্দেহের তীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর দিকে

যশোরে সাবেক শ্বশুর বাড়ির পাশ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়ার বালিয়াডাঙ্গার গ্রামের আকতারুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা মোসলেনগর গ্রামের মৃত চাঁদ আলী গোলদারের ছেলে। তার একটি গরুর ফার্ম রয়েছে।

পুলিশ, স্বজন ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঝিকরগাছার ওই গ্রামের আক্তারুল ইসলাম দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন। গত বছর পাঁচ আগে দেশে ফিরে মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা দক্ষিণপাড়া গ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ে নাসরিনকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। কিন্তু পারিবারিক কলহের কারণে তিন মাস আগে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। স্ত্রী পক্ষ প্রথমে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পরে পাঁচ লাখ টাকা দাবির যৌতুক আইনে মামলা দেয়া হয়। যৌতুক মামলাটির তদন্তের জন্য যশোর পিবিআইতে অভিযুক্ত আখতারুলকে ডাকা হয়। বুধবার বিকালে আকতারুল, তার বড় ভাই মাস্টার নজরুল ও মাটশিয়া গ্রামের ভগ্নিপতি আজিজ মল্লিক তার সাথে যশোর পিবিআই অফিসে যান। সেখান থেকে রাতে নজরুল ও তার ভগ্নিপতি মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরেন। আক্তারুল নিজের মোটরসাইকেলযোগে একাই যাচ্ছিলেন। কিন্তু বড় ভাই ও ভগ্নিপতি বাড়ি ফিরলেও তিনি বাড়ি যাননি। গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা ও গ্রামের লোকজন খুঁজতে বের হন। এক পর্যায়ে স্বজনরা পুলিশের সহযোগিতায় মোবাইল ট্রাকিং করে তাকে রাত ৩টার দিকে মণিরামপুর উপজেলার দীঘিরপাড় সংলগ্ন দোদাড়িয়া গ্রামের মাঠে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এ গ্রামের পাশেই তার শ্বশুর বাড়ি। পরে পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে যশোরে জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

আক্তারুলের প্রতিবেশী মোশারফ হোসেন জানান, মরদেহের পাশে তার মোটরসাইকেল ও তার পকেটে দুটি মোবাইল ছিল। যা কেউ নেয়নি। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানান মোশারফ।

এদিকে নিহতের ভাই মাস্টার নজরুল জানান, আমার ভাইকে তার স্ত্রীর ভাইরা লোকজন দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তাদের দাবি মোবাইল কললিস্ট খতিয়ে দেখা হলে হত্যার ক্লু বেরিয়ে আসতে পারে।

মণিরামপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড, নাকি দুর্ঘটনা তা ময়না তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে যশোর পিবিআই’র পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, বুধবার আকতারুল ইসলামকে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা ডেকেছিলেন। কাজ শেষে তিনি চলে যান। এদিন সকালে জেনেছি তার মরদেহ পাওয়া গেছে। এটি দুর্ঘটনা, নাকি অন্যকিছু তা ময়না তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বুঝা যাবে।

খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!