যশোরে মাদক মামলায় দুই বোনকে কারাদন্ড না দিয়ে সাত শর্তে দুই বছর প্রবেশনে মুক্তি দিয়ে নিজ বাড়িতে থাকার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস এ রায় দিয়েছেন। তাকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসারের নজরদারিতে থাকতে বলা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে তিনি এ নিয়ে এ ধরণের তিনটি রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, অভয়নগর উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের আব্দুল গনির দুই মেয়ে রোজিনা খাতুন (২৮) ও সেলিনা খাতুন (২৬)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের এপিপি লতিফা ইয়াসমিন।
বাড়িতে থেকে সাজা শর্তগুলো হলো, সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসারের নজরদারিতে থেকে কোন প্রকার অপরাধের সাথে জড়িত থাকতে পারবেন না। শান্তি বজায় রেখে সকলের সাথে সদাচারণ করতে হবে। আদালত অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাকে যে কোনো সময় তলব করলে শাস্তি ভোগের জন্য প্রস্তুত হয়ে নির্ধারিত স্থানে হাজির হতে হবে। কোন প্রকার মাদক সেবন, বহন, সংরক্ষণ এবং সেবনকারী, বহনকারী ও হেফাজতকারীর সাথে মেলামেশা করা যাবে না। একই সাথে আদালত কর্তৃক প্রবেশন অফিসারের তত্বাবধানে থেকে সার্বিক অবস্থা অবহিত করতে হবে। এই প্রবেশন অফিসারের লিখিত অনুমতি ছাড়া নিজের এলাকার বাইরে যাওয়া যাবে না।
এর ব্যত্যয় ঘটলে আসামিদের প্রত্যেকে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও একহাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো একমাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হবে।
২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর নিজ এলাকা থেকে রোজিনা খাতুন ১২ পুরিয়া ও সেলিনা খাতুন ১০ পুরিয়া হোরোইনসহ আটক হন। এ ঘটনায় অভয়নগর থানায় মামলা হয়। বুধবার মামলার রায়ে বিচারক এ আদেশ দেন।
রায়ে আরো উল্লেখ করা হয়, এ মামলায় আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর দীর্ঘ ১৪ বছরের মধ্যে অভিযুক্তরা হাজিরা কামাই দেয়নি। এ মামলা ছাড়া তাদের আর কোন মামলাও নেই। দীর্ঘ স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে প্রমাণিত হয়। আসামিদের সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী পুর্নবাসনের জন্য শর্ত সাপেক্ষে প্রবেশন অফিসারের নিয়ন্ত্রণে প্রবেশনে মুক্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারক।
খুলনা গেজেট/কেএম