যশোরে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত আসাদুজ্জামান আসাদ ওরফে বুনো আসাদ মারা গেছেন। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে মারা যান। আসাদ যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তার বাড়ি শহরের বেজপাড়া বনানী রোডে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসাদের ছোট ভাই সাহিদুর রহমান।
তিনি জানান, গত ৮ অক্টোবর সন্ধ্যারাতে বেজপাড়া সাদেক দারোগার মোড়ে আসাদের বুকে ছুরিকাঘাত করে চিহিৃত সন্ত্রাসীরা। তাকে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে অপারেশন করার সময় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এর আগে তিনি এ ঘটনায় বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলো, শহরের বেজপাড়া কবরস্থানের পিছনে মাঠপাড়ার সুমনের বাড়ির ভাড়াটিয়া কাসেমের ছেলে হাসান ওরফে খাবড়ি হাসান, বেজপাড়া বনানী রোডের আক্কাসের ছেলে চঞ্চল ওরফে বস্তা চঞ্চল, একই এলাকার খোকনের ছেলে আকাশ ওরফে ফাও চাঁচড়া রায়পাড়ার বিপ্লব হোসেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরীফ আল মামুন জানান, আসাদ ছুরিকাহত হবার পর পুলিশ প্রথমে চঞ্চলকে আটক করে। এছাড়া অপর আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন নেন। এরপর হাসানকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করা হয়। বর্তমানে সে কারাগারে আটক রয়েছে। আগামী ২৩ নভেম্বর এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে।
কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, এরআগে যে হত্যা চেষ্টার মামলা হয়েছিলো, তা এখন হত্যা মামলায় রুপান্তরিত হবে।
উল্লেখ্য, নিহত বুনো আসাদের বিরুদ্ধেও থানায় হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।