যশোরের চুড়ামনকাটির গোবিলা গ্রামে রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে যুবলীগ নেতা শিমুল হোসেনকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজন বিরাজ করছে। ঘটনার পরই স্থানীয়রা বিক্ষোভ করেছেন। পরিবারের সদস্যরা ঘটনায় জড়িতদের নাম উল্লেখ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ খবরে পুলিশের কয়েকটি টিম ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। জড়িতদের শনাক্ত ও আটকে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত উঠতি বয়সিদের সাথে সম্প্রতি রাজনৈতিক বিরোধ হয় গোবিলা গ্রামের সাবেক মেম্বার মকলেছুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে শিমুল হোসেনের। তিনি চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের য্বুলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এলাকার সজীব ও বুলবুল কয়েকদিন আগে তাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়। আর ২১ মার্চ রাত ৮ টার দিকে ৪/৫ জনের একটি দুর্বৃত্ত গোবিলা গ্রামে গিয়ে চড়াও হয় শিমুলের উপর। প্রথমে বাক বিতন্ডা ও পরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাত ৯টা দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার সাকিব হাসান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে আসা নিহত শিমুলের ভাই রাকিব জানিয়েছেন, এটা রাজনৈতিক হত্যা। তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এলাকার সজীব ও বুলবুলের নেতৃত্বে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে। তারা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। তিনি দ্রুত তাদের আটক দাবি করেন।
হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়া নিহতের স্ত্রী নাসরিন বেগম জানিয়েছেন, এলাকার পরিচিত লোকজনই তাকে হত্যা করেছে। শুধু রাজনীতি করার কারণেই এ খুন। এলাকায় অনিয়ম অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় অপরাধীরা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে তার স্বামীর। তিনি জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে যশোর কোতেয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজজাক বলেন, খুনীদের আটকে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। পরিবারের মৌখিক অভিযোগ ও পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে শনাক্ত করা চেষ্টা চলছে আসামিদের। আধিপত্য ও পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যা হয়েছে বলেও তিনি জানতে পেরেছেন। এ ঘটনায় যারাই জড়িত সাবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
খুলনা গেজেট/কেডি