যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডে পিয়ারলেস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এসময় ভুয়া ডাক্তার হাবিবুর রহমানকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ দাশ এ দন্ড প্রদান করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিভিল সার্জন অফিসের উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ডেপুটি সিভিল সার্জন নাজমুস সাদিক রাসেল জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাবিবুর রহমান ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে পিয়ারলেস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এমবিবিএস ডাক্তার সেজে রোগী দেখে আসছিলেন। বিষয়টির সত্যতা পাওয়ার পর সেখানে অভিযান চালিয়ে ভুয়া ডাক্তার হাবিবুরকে আটক করা হয়। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
সূত্র জানায়, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পিয়ারলেস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বসে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য ব্যবস্থাপত্র লিখে দিচ্ছেন ওই ভুয়া ডাক্তার। এ সকল টেস্টের জন্য রোগীকে খরচ করতে হচ্ছে ছয়-সাত হাজার টাকা। এমনকি সামান্য পেটে ব্যথা হলেও অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে কমপক্ষে পাঁচ-ছয় হাজার টাকা।
সূত্র জানায়, গোছালো অফিস ছাড়া বসেন না হাবিবুর। ফি নেন দু’ থেকে পাঁচশ’ টাকা। আর সত্যিকারের ডাক্তারের মতো ভাব রেখে সপ্তাহে দু’ থেকে তিনদিন করে সময় দেন ক্লিনিক ও প্রাইভেট হাসপাতালে। সাইনবোর্ডে তিনি লিখেছেন মেডিসিন, শিশু, অ্যাজমা, বাত-ব্যথা, গ্যাস্ট্রোলিভার, চর্ম-যৌন ও ডায়াবেটিসে অভিজ্ঞ। ডিগ্রি লিখেছেন ডি.এম.এফ, ডি.এম.এ ও এম.এস.সি।
যশোর স্বাস্থ্য বিভাগের এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার রেহেনেওয়াজ রনি ও অনুপম দাস।