যশোরের আরবপুরে সন্ত্রাসীর ছুরিকাঘাতে আমিনুর রহমান বিশে (৩৫) খুনের ঘটনায় চিহ্নিত ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। পাওনা টাকা চাওয়ায় প্রথমে হত্যার হুমকি ও পরে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
আসামিরা হচ্ছে, যশোরের বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাগর হোসেন, আকাশ, আনছার আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম, পুরাতন কসবার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ফেরদাউস হোসেন, সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে নাঈম হোসেন, একই এলাকার ওয়াহিদের ছেলে রুবেলসহ অজ্ঞাত কয়েকজন। এদিকে হত্যায় সংশ্লিষ্ট সন্দেহে পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
এলাকায় আধিপত্য ও বালির ব্যবসা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জের ধরে ২১ ডিসেম্বর বিকেলে এলাকার আসলামের হোটেলের সামনে খুন করা হয় আরবপুর তালপট্টির মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে বিশে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই শুভ হাওলাদার ২২ ডিসেম্বর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় তিনি বলেছেন, তার বড় ভাই আমিনুর রহমান বিশে বালির ব্যবসা করেন। বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের সাগরের সাথে তার বালির ব্যবসা ছিল ও টাকা পেতেন। পাওনা টাকা না দেয়ায় বেশ কিছুদিন যাবৎ সাগরের সাথে বিশের শত্রুতা শুরু হয়। এক পর্যায় সাগর তার সহযোগি আসামিদের নিয়ে বিশেকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত ২১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় বিশে ভেকুটিয়া গ্রামে বালি কিনতে যান। সেখানে সাগরের কাছে বিশে পাওনা টাকা চান। এসময় বির্তকের সৃষ্টি হলে বিশেকে খুন করার হুমকি দেয় সাগর। বিশে বেলা সোয়া ৩টার পর আরবপুর মোড়ের আসলামের খাবার হোটেলের সামনে দাড়িয়ে থাকার সময় সাগরসহ তার সহযোগিরা ধারালো চাকু ও দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই বিশে মারা যায়। ২২ ডিসেম্বর সকালে যশোর হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। হত্যাকান্ডের রাতেই বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের আনছার আলীর ছেলে তরিকুল ইসলামকে পুলিশ আটক করেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
তবে এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সেকেন্দার আবু জাফর জানিয়েছেন বিশে হত্যা মামলায় কাউকে আটক করা হয়নি। দ্রুতই জড়িতরা আটক হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম