যশোরে বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় নাশকতা মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে মামলাটি করেছেন থানার এসআই জয় বালা।
মামলায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য মিজানুর রহমান খান, কাজী আজম, সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম, মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, বিএনপি নেতা আঞ্জুরুল হক খোকন, জেলা যুবদলের সভাপতি এম. তমাল আহম্মেদ, যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল হাসান বাবুল, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এ মামলায় ২৫ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। একইসাথে পাঁচটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এছাড়া, যশোরের বিভিন্ন থানায় পৃথক নাশকতা মামলায় ৪৪ নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
কোতোয়ালি থানায় দায়েরকৃত মামলায় বাদী এসআই জয়বালা বলেছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন শুক্রবার বিকেলে শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়া শতদল পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নাশকতা কর্মকান্ড ঘটানোর জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা হাতবোমা, লাঠি ও ইট পাটকেল নিয়ে অবস্থান করছেন। তাৎক্ষনিক পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ২৫ নেতাকর্মীকে আটক করে। একইসাথে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি ককটেল, তিনটি কাঠের লাঠি ও পাঁচ টুকরা ইট উদ্ধার করে।
আটককৃতরা হলেন, বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, বারান্দী মোল্লাপাড়ার মনিরুল করীম ওরফে ফল নান্নু, একই এলাকার সাইদুর রহমান শাহীন, পূর্ব বারান্দিপাড়ার অ্যাডভোকেট এসএম আব্দুর রাজ্জাক, নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার আব্দুর রব, বারান্দীপাড়া বৌবাজারের আব্দুল কাদের, সিটি কলেজপাড়ার শেখ মোহাম্মদ, বারান্দী মালোপাড়ার তৌহিদুর রহমান, পূর্ববারান্দী মোল্লাপাড়ার রাব্বি হোসেন, শংকরপুরের তাইজুল ইসলাম তাজু, সিদ্দিকুর রহমান, মনিরুজ্জামান মানু, মনোহরপুর গ্রামের দাউদ ইব্রাহিম, সিরাজসিঙ্গা গ্রামের খালেকুজ্জামান, ভগবতীতলার হাফিজুর রহমান, শাহাপুর গ্রামের কাওছার আলী, পাঁচবাড়িয়া গ্রামের সাইফুজ্জামান মুন্না, নওদা গ্রামের আবু খায়ের, রুপদিয়ার শাহিন রহমান, জিরাট গ্রামের আব্দুল গণি, তেতুলিয়ার প্রভাষক মনিরুজ্জামান, ওয়াপদাপাড়ার মাহাবুব হোসেন আপন। এ ঘটনায় তদন্তে নাম আসা সুজলপুরের নিছার আলী, ভাতুড়িয়ার মহাসিন আলী ও জগমোহনপুরের ফারুক হোসেনকে এ মামলায় আটক দেখানো হয়েছে। শনিবার আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
এছাড়া, মামলার পলাতক আসামিরা হলেন বাউলিয়া গ্রামের মোহাম্মদ মহাসিন, চান্দুটিয়ার শফিয়ার রহমান, নারাঙ্গালীর ইদ্রিস আলী, আড়পাড়ার আমিনুর রহমান মধু, ঝুমঝুমপুরের জাহাঙ্গির হোসেন, পূর্ব বারান্দীপাড়ার তারেক হোসেন চুন্নু, জিরাট গ্রামের আবু রাসেল, রুপদিয়ার হাসানুর রহমান লিটু, নরেন্দ্রপুরের আতিয়ার দফাদার, চাউলিয়ার সোহেল রানা তোতা, বিএম গোলাম রসুল, নরেন্দ্রপুরের আজিম হোসেন মিন্টু, ভেকুটিয়ার খাইরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, সুজলপুরের শামসু ওরফে ভাংড়ি শামছু।
খুলনা গেজেট/ এসজেড