যশোরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এবার প্রশ্নপত্রের বাড়তি নিরাপত্তায় শহরের সকল বাণিজ্যিক ফটোকপির দোকান বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালে ২২ জন ম্যাজিস্ট্রেট এদিন মাঠে থাকবেন।
যশোরের চার উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলাগুলো হচ্ছে, মণিরামপুর, কেশবপুর, শার্শা ও ঝিকরগাছা। এ পরীক্ষা শহরের ২২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের জন্য জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান ১১টি নির্দেশনা দিয়েছেন। যা না মানলে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না তারা। ১১ নির্দেশনার প্রথমটি হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র সাথে আনতে হবে। তা না হলে কেউই পরীক্ষার হলে ঢুকতে পারবেন না।
এদিকে, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য যশোর জেলা প্রশাসন শহরের প্রায় দেড়শ’টি ফটোকপির দোকান এদিন বিকেল তিনটা পর্যন্ত বন্ধ থাকার কথা জানিয়েছেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বলছে, এবার চার উপজেলার ১৭ হাজার ৩৬ জন পরীক্ষার্থী এ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা আগে প্রার্থীকে নির্ধারিত আসন গ্রহণ করতে হবে এবং পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রের সকল প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়া হবে। পরীক্ষা শুরুর পর থেকে ওএমআর ফরম জমা না দেয়া পর্যন্ত কেউ বের হতে পারবেন না।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম বলেন, এনআইডি কার্ড সাথে না থাকলে কাউকে পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেয়া হবে না। পরীক্ষার জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে।
খুলনা গেজেট/ টি আই