যশোরে পুত্রবধূকে মারপিট থেকে রক্ষা করতে গিয়ে পাষন্ড পুত্রের ছুরিকাঘাতে জখম হয়েছেন পিতা। গুরুতর অবস্থায় তিনি বর্তমানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে শহরের শংকরপুর থেকে কুলাঙ্গার ছেলেকে আটক করেছে। একই সাথে ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করেছে।
সূত্র জানায়, শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়ক পশ্চিমপাড়ার শেখ মশিয়ার রহমানের ছেলে মুনিম তার স্ত্রী কারিমা আফরোজ কেয়াকে (১৯) শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। গত ৭ এপ্রিল গভীররাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে মুনিম ঘরের দরজা বন্ধ করে স্ত্রী কেয়াকে নির্যাতন করছিলেন। এসময় কেয়ার চিৎকারে তার শ্বশুর শেখ মশিয়ার রহমান ও শাশুড়ি মাছুমা খাতুন বৌমাকে রক্ষার জন্য ছুটে যান। এসময় ছেলে মুনিম তাদেরকে গালিগালাজসহ খুন জখমের হুমকি দেন। এক পর্যায়ে পাষন্ড ছেলে মুনিম দরজা খুলে পিতা মশিয়ার রহমানের বুকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। এখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় মাছুমা খাতুন ছেলে মুনিমকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতেই কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এরই প্রেক্ষিতে কোতয়ালি থানার এসআই শংকর কুমার বিশ্বাস রাতেই অভিযান চালিয়ে শংকরপুরস্থ বাড়ির সামনে থেকে আসামি মুনিমকে আটক করেন। পরে তার স্বীকারোক্তিতে ঘরের বিছানার নিচ থেকে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই