যশোর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক রিপন হোসেন ওরফে দাদা রিপন হত্যা মামলার বিচার হয়নি দীর্ঘ একযুগেও। এ কারণে দ্রুত বিচার দাবিতে ফের আন্দোলনে নেমেছেন এলাকাবাসী। এরআগেও একাধিকবার মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করেন স্থানীয়রা। দীর্ঘ ১২ বছর পরও চাঞ্চল্যকর এ হত্যার বিচার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন ।
সোমবার প্রেসক্লাব যশোরের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দাবি করে মামলার প্রধান আসামি আরবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলামের ফাঁসির দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।
মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, আরবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলামের ইন্ধনে ছাত্রলীগ নেতা দাদা রিপনকে হত্যা করা হয়েছে। শাহারুলই দীর্ঘদিন ধরে কৌশলে মামলাটির স্বাভাবিক কার্যক্রম চাপিয়ে রেখেছেন। মামলাটির স্বাভাবিক গতি থাকলে এতোদিন স্বজনেরা ন্যায় বিচার পেতেন। যে কারণে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় স্বজনরা চরমভাবে হতাশ হচ্ছেন। মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে দাদা রিপন হত্যা মামলার দ্রুত বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে প্রধান আসামি শাহারুল ইসলামের ফাঁসি দাবি করেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ সরদার, আরবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ আলী, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য শিমুল সরদার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৪ মার্চ রাতে সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের রঘুরামপুরে খুন হন ছাত্রলীগ নেতা দাদা রিপন। এ ঘটনায় তার পিতা শহিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগ নেতা শাহারুল ইসলামসহ ৮ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর হত্যাকান্ডের দীর্ঘ ৩ বছর পর ২০১৩ সালে পুলিশ এ মামলায় শাহারুলকে অভিযুক্ত করে ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে ।
এদিকে, ২০১৩ সালে এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিলেও এখন পর্যন্ত মামলার কোনো সাক্ষ্যগ্রহণ বা বিচার শুরু হয়নি। মামলার এ দীর্ঘসূত্রতায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। এ কারণে তারা যশোরের আলোচিত এ হত্যার মামলার বিচার দাবিতে ফের পথে নেমেছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই