যশোরে পশুর চামড়া বাজার নিয়ন্ত্রণে আগাম পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ঈদুল আজহার পর চামড়ার বাজার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত তদারকি করবেন জেলা বাজার কর্মকর্তা। সরকার নির্ধারিত দামের কোনোভাবেই যাতে হেরফের না হয় সে জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তৎপর থাকবেন। চামড়া পাচার ঠেকাতে শক্ত অবস্থানে থাকবে পুলিশ ও বিজিবি। রাজারহাট বাজারে টাঙাতে হবে চামড়ার মূল্য তালিকা ও টোল আদায়ের পরিমাণ। এসবের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্টকে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি জানানো হয়েছে। শনিবার এক সভায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বার্তা দেয়া হয়।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চামড়ার মোকাম যশোরের রাজারহাট। এই হাটে আগত বিক্রেতারা যাতে ন্যায্যমূল্যে চামড়া বিক্রি করতে পারেন, সেলক্ষ্যে শনিবার এক সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। স্থানীয় সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত সভায় চামড়া ও লবণ ব্যবসায়ীদের ডাকা হয়। তাদেরকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে যাতে কোনো রকম লবণের সংকট তৈরি না হয়। একইসাথে চামড়ার দাম যাতে সরকার নির্ধারিত পরিমাণের কম না হয় সে জন্যে রাজারহাটে মূল্য তালিকা টাঙানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইভাবে গলাকাটা টোল আদায় বন্ধ করতে সরকার নির্ধারিত টোলের পরিমাণ সংক্রান্ত সাইনবোর্ডও টাঙাতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
এসব বিষয় তদারকি করতে গঠন করা হয়েছে কমিটি। চার সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটিতে রয়েছেন জেলা বাজার কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ বিভাগের সহকারী পরিচালক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক।
সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, আগামী ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে পশু এবং পশুর চামড়াবাহী যে কোনো ধরনের যানবাহন আওতামুক্ত থাকবে। আওতামুক্ত থাকবেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীরাও।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রাশসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিম লিংকন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম ও বেলাল হোসাইন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, জেলা বাজার কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বকতিয়ার হোসেন, চামড়া ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন মুকুল, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শফিউল আলমসহ বিজিবির প্রতিনিধি।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি