রণাঙ্গণ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি একেঁ জমা দেয়ার শর্তে প্রবেশনে মুক্তি পেয়েছে মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এছাড়া এ মামলার অপর এক আসামিকে কয়েকটি শর্ত দিয়ে মুক্ত করেছেন আদালত। একইসাথে আকা ছবিগুলো প্রবেশন কর্মকর্তাকে যশোরের বিভিন্ন প্রদর্শনীতে পদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার অতিরিক্ত দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস এ আদেশ দেন।
প্রবেশনে মুক্তি প্রাপ্তরা হল, বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে রমজানুল ইসলাম সিয়াম ও অভয়নগর উপজেলার পোড়াখালী গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে শাহিন আলম। আদেশের সময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্টপক্ষের এপিপি জ্যোৎ¯œা সাহা পুতুল ও শ্যামল কুমার মজুমদার। তারা জানান, দু’জনেই আদালতে দোষ স্বীকার করায় আদালত তাদেরকে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্বাবধানে বাড়িতে থেকেই সাজাভোগ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি রাত ১০ টা ২০ মিনিটে রমজানুল ইসলাম সিয়াম ও শাহিন আলমকে আটক করে যশোর সদর পুলিশ ফাঁড়ি সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ মামলা চলাকালে আসামিরা দোষ স্বীকার করে নিজেদের সংশোধনের সুযোগ প্রার্থনা করেন। একইসাথে তারা এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে প্রতিজ্ঞা করেন। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার আদালত দু’জনকেই এক বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করে ১০ শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দেন।
উল্লেখযোগ্য শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, শাহিনের নিজের বাড়ি ও সরকারি রাস্তার পাশে গাছ লাগাতে হবে। লিগ্যাল এইড সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। এছাড়া সিয়ামের শর্তের মধ্যে রয়েছে তিনি বাড়িতে মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণের দৃশ্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আকাবেন। এরপর তিনি ওইসব ছবি প্রবেশন কর্মকর্তার কাছে জমা দিবেন। পরে ওই চিত্র যশোর জেলায় বিভিন্ন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রদর্শনীতে উপস্থাপনের ব্যবস্থা করবেন প্রবেশন কর্মকর্তা। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা ও আমার দেখা নয়াচীন এ তিনটি বই পড়তে হবে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড