যশোরে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ৩৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১১ জন। উচ্চ ঝুঁকির কারণে যশোরের পাঁচ পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নে লকডাউন চলছে। সেইসাথে জনগণকে সচেতন হওয়ার পরামর্শও দিচ্ছে প্রশাসন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার আরিফ আহম্মেদ ও সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডাক্তার রেহেনেওয়াজ জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় যশোরে ৬০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৭০ শতাংশ। করোনায় এসময়ে মারা গেছেন ১১ জন।
এদের মধ্যে ৬ জন করোনা রোগী ও অপর ৫ জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৪৫ জন। যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা শয্যা সংখ্যার চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় চাপের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের রেডজোন করোনা ইউনিটে ২জনের মৃত্যু হয়েছে, অভয়নগর উপজেলায় ১ জন, মনিরামপুর ২জন ও কেশবপুরে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন৷
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিধিনিষেধ এলাকা ভিত্তিক থেকে জেলায় সম্প্রসারণ করা হয়েছে। যা কার্যকর করতে প্রশাসন আরো কঠোর হবে। ওষুধের দোকান ছাড়া সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা থাকবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এছাড়া পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সকল গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে৷
খুলনা গেজেট/ এস আই