যশোর জেনারেল হাসপাতালের রেড ও ইয়োলোজোনে চিকিৎসাধীন আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন করোনায় ও পাঁচজন উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। একইসাথে বুধবার জেলায় নতুন আরো একশ’ নয় জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা রেড ও ইয়োলোজোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটজন মারা গেছেন। এরমধ্যে করোনায় মৃতরা হলেন, মণিরামপুর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের মৃত নওশের আলীর ছেলে বজলুর রহমান (৩৭), চৌগাছার গরিবপুর গ্রামের বাহার আলীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৬০) ও ঝিকরগাছার উলাকল গ্রামের নুর আহমেদের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৬০)।
ইয়োলোজোনে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া পাঁচজন হলেন, যশোর সদর উপজেলার জগমোহনপুর গ্রামের আদিল উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সাত্তার (৫৫), কিসমত নওয়াপাড়ার মহর আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম (৫০), শার্শার লাউদাড়া গ্রামের কাশেম আলীর স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৬০), মণিরামপুরের রোকেয়া বেগম (৬২) ও ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মালাধরপুর গ্রামের আক্তারের স্ত্রী রুমানা বেগম (৩০)।
সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডাক্তার রেহেনেওয়াজ জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে একশ’ ২৩টি নমুনায় ২০ জন, খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) ল্যাবে ১৮ টি নমুনায় একজন ও সাতক্ষীরায় একশ’ আটটি নমুনা পরীক্ষায় ১৭ জনের পজিটিভ হয়েছে। এছাড়া, যশোর জেনারেল হাসপাতালে ৬১ জনের র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ৪০ জন এবং অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একশ’ ২৪ জনের র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ৩০ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। সবমিলিয়ে তিনশ’ ৫৬ টি নমুনা পরীক্ষায় একশ’ নয়জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
যবিপ্রবির অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষণ দলের সদস্য অধ্যাপক ডক্টর ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, মঙ্গলবার রাতে শুধুমাত্র যশোর জেলার একশ’ ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। অন্য কোনো জেলার নমুনা পরীক্ষা হয়নি। সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, ২৩ জুন পর্যন্ত যশোর জেলায় ১০ হাজার ১শ’ ৭৭ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন একশ’ ২৮ জন নারী পুরুষ। এরমধ্যে যশোরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে একশ’ ১৪ জনের।
এছাড়া, ঢাকায় ছয়জন, খুলনায় সাতজন ও সাতক্ষীরা হাসপাতালে একজন মারা গেছেন। তিনি জানান, যশোর হাসপাতালের রেডজোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত তিনজনের হিসাব বুধবার রাত পর্যন্ত তার কাছে দেয়া হয়নি। ওই চারজনের মৃত্যু ধরলে মোট মৃতের সংখ্যা হবে একশ’ ৩১ জন।