যশোরে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ২০৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে মারা গেছেন ৫ জন। গত সাতদিনে মৃত্যুর এ সংখ্যা ২০ জন। এদিকে যশোরে চিনোফার্মের ১২ হাজার ডোজ করোনার টিকা এসেছে।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজেস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় ৪১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২০৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। মঙ্গলবার এ হার ছিল ৪৭ শতাংশ। বুধবার করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ জন। এদের মধ্যে শার্শা, অভয়নগর ও কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রেডজোনে তিনজন ও যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি ২ জন রোগী মারা গেছেন। মৃতরা হলেন, বাঘারপাড়া উপজেলার জহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব তুহিন (৪০), মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের শাহাব উদ্দীন (৬২), ঝিকরগাছা নাভারণের আসাদুর রহমান (৫০), চৌগাছা উপজেলার বড় খানপুর গ্রামের আমিল মল্লিক (৫০) ও একজনের নাম জানাতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে ২০ জন মারা গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে করোনার রোগী ভর্তি রয়েছে ১১৫জন।
এছাড়া, বুধবার নতুন শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে সদর উপজেলা এলাকায় ১২৯ জন, কেশবপুরে ৪, ঝিকরগাছায় ১১, অভয়নগরের ২০ ও মণিরামপুরের ১ জন রয়েছেন।
এদিন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে ২৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৭৪৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৭২০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯৬ জনের।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালের ইয়োলোজনে চিকিৎসাধীন তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া রেডজোনে দু’জন মারা গেছেন।
করোনা উপসর্গ নিয়ে ১৫ জুন রাজগঞ্জের শাহাব উদ্দীন যশোর জেনারেল হাসপাতালের ইয়োলোজোনে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ জুন ভোরে তার মৃত্যু হয়েছে। ১৫ জুন সকালে করোনা উপসর্গ নিয়ে নাভারণের আসাদুর রহমান ইয়োলোজোনে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এদিন ভোররাতে তার মৃত্যু হয়েছে। ১৬ জুন সকাল ৮টা ২০ মিনিটে বড় খানপুর গ্রামের আমির মল্লিক করোনা উপসর্গ নিয়ে ইয়োলোজোনে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালের রেডজোনে ২১ জন ভর্তি হয়েছেন । ছাড়পত্র নিয়েছেন ২২ জন। এছাড়া, ইয়োলোজোনে ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন। ছাড়পত্র নিয়েছেন ২৪ জন।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আখতারুজ্জামান জানান, হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ বাড়ছে। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা প্রস্তুত আছেন। করোনা উপসর্গ দেখা দিলে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিতে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।
যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, চিনোফার্মের ১২ হাজার ডোজ করোনার টিকা যশোরে এসেছে। বুধবার ভোররাতে তিনি এ টিকা গ্রহণ করেন। এ গুলো নির্ধারিত তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, চিনোফার্মের এ টিকা শুধুমাত্র মেডিকেল, নাসিং, ম্যাটস ও আইএসটি শিক্ষার্থীদের মাঝে দেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই