এমএলএম-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেসের বিরুদ্ধে যশোরে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় রাসেল হোসেন নামের একজনকে আটক করেছে র্যাব-৬। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলার করিচিয়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রতারণার শিকার ইমামুল ইসলাম নামের এক কলেজছাত্র প্রতিষ্ঠানটির এজেন্ট রাসেল হোসেনসহ ১৩ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।
আটককৃত রাসেল উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। মামলার বাদী ইমামুল ইসলাম যশোর সদর উপজেলার করিচিয়া গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে।
এজাহার থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি ফেসবুকে এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস নামের একটি ভেরিফায়েড পেজ দেখতে পান। এ সময় তিনি তার পরিচিত আসামি রাসেলের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেন। রাসেল তাকে জানান তিনি (রাসেল) এসপিসি ওয়ার্ল্ডের একজন এজেন্ট। অ্যাপস ইনস্টল ও রেজিস্ট্রেশন করে তাতে বিনিয়োগ করা যায়। এই পেজের একটি বিজ্ঞাপন দেখলে প্রতিটিতে ১০ টাকা করে মাসে ৩০০ টাকা পাওয়া যাবে। তার আগে প্রতিটি আইডির জন্য ১২০০ টাকা করে দিতে হবে।
রাসেলের এসব কথা বিশ্বাস করে ৩৬ হাজার ২৫০ টাকায় ৫১টি আইডি কেনেন ইমামুল। টাকা ক্যাশ আউটের জন্য একজন এজেন্টের দরকার হয়। তিনি তার আইডির টাকা রাসেলের কাছ থেকে নেওয়ার কথাবার্তা চূড়ান্ত করেন। তার দেখাদেখি ওই এলাকার আরও ৭ জন রাসেলের মাধ্যমে টাকা বিনিয়োগ করেন এবং অ্যাপসে লগইন করে বিজ্ঞাপন দেখতে থাকেন।
ছয় মাস বিজ্ঞাপন দেখে অ্যাপসের ওয়ালেটে ৫৪ হাজার টাকা জমা হয়। ওই টাকা ক্যাশ আউটের চেষ্টার জন্য রাসেলের সাথে যোগাযোগ করেন। কিন্তু রাসেল মোবাইল ফোন রিসিভ করেন না। পরে তিনি বন্ধুদের সাথে করে রাসেলের বাড়িতে গেলে রাসেল জানান, যেহেতু কোম্পানি চালু আছে, তাই বিজ্ঞাপন দেখে যেতে বলেন। টাকা একসময় পাওয়া যাবে। পরে তারা জানতে পারেন এটি একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান। রাসেলসহ ২০ থেকে ২৫ জনের একটি চক্র এর সঙ্গে জড়িত।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাসমীম আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এসপিসির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে রাসেল হোসেনসহ ১৩ জনের নামে মামলা করেন। বুধবার রাসেলকে আটক করে র্যাব। পরে র্যাব তাকে পুলিশে সোপর্দ করে মামলা করা হয়। আজ তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই