যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারের পরীক্ষায় আরো ৭৫টি নমুনা করোনা পজেটিভ হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের র্যপিড এন্টিজেন পরীক্ষায় আরো ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সংখ্যা গত একমাসের মধ্যে সর্বাধিক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষণ দলের সদস্য ড. ইকবাল কবীর জাহিদ জানান, সোমবার রাতে তাদের ল্যাবে মোট ৩২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের শরীর থেকে স্বাস্থ্য বিভাগ এ নমুনা সংগ্রহ করেছে। এসব নমুনার মধ্যে ৭৫টি পজিটিভ হয়েছে। তিনি জানান, পরীক্ষিত নমুনার মধ্যে যশোর জেলার ছিল ২৮৯টি। এর মধ্যে ৭০টি পজিটিভ। এছাড়া, মাগুরার ২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে তিনটিতে ও নড়াইলের ১১ জনের নমুনা পরীক্ষায় দুটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সংক্রান্ত পরীক্ষার ফলাফল সংশ্লিষ্ট তিন জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪২ জনের অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাতে যবিপ্রবি জিনোম সেন্টার থেকে জানানো হয়, যশোরে আরো আট ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে। এদের কেউই সম্প্রতি ভারতে যাননি।
এদিকে, সীমান্তবর্তী সাতটি জেলায় করোনা পরিস্থিতি সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এর মধ্যে খুলনা বিভাগের তিনটি জেলা যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা ও কুষ্টিয়া রয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটি এ সাত জেলায় স্থানীয়ভাবে লকডাউন ঘোষণার কথা বলে আসছে। তবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সোমবার জানিয়েছেন, উল্লিখিত জেলাগুলোতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বা আদৌ নতুন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি-না তা নির্ধারণ করবেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকরা।
যশোর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, যশোরে এখনই ‘কঠোর লকডাউন’ না দিয়ে অন্যভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী গত দুই দিন ধরে জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান জোরদার করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মাস্ক পরা, ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। যারা এসব সতর্কতা মানছেন না, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এতেও যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তাহলে যশোরে ফের ‘লকডাউন’ দেয়া হতে পারে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি