যশোর মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের ইন্টার্ন চিকিৎসক জাকির হোসনকে মারপিট ও হত্যা চেষ্টা মামলার সাত আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণের পর আবেদন জানালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল আসামিদের ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অস্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন। ওইদিন বাদী ও ভুক্তভোগীর উপস্থিতিতে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
৩১ জানুয়ারি যশোর মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে ইন্টার্ন চিকিৎসক জাকিরকে মারপিট ও হত্যার ও চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় ইন্টার্ন ডাক্তারের হাত, পা ও বুকের হাড় ভেঙে যায়। কিন্তু এ বিষয়ে পুলিশের কাছে মামলা করতে গেলে পুলিশ তা নথিভুক্ত করেনি। এরপর ৯ ফেব্রুয়ারি জাকিরের বড়ভাই জাহাঙ্গীর আলম ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ও কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন রাসেলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত এ অভিযোগ আমলে নিয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জকে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি কোতোয়ালি থানায় এ মামলা রেকর্ড হয়। এরপর আত্মগোপনে থেকে বৃহস্পতিবার আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাদের অস্থায়ী জামিন মঞ্জুর করে বাদীর উপস্থিতিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি স্থায়ী জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী শামীম হোসেন, ৫ম ব্যাচের আব্দুর রহমান আকাশ, ৬ষ্ঠ ব্যাচের মেহেদী হাসান লিওন, ৯ম ব্যাচের শাকিব আহম্মেদ তানিম, ১০ম ব্যাচের তন্ময় সরকার ও ৯ম ব্যাচের সৌম্য সাহা।
এদিকে, কলেজ কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত প্রতিবেদন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে পাঠিয়েছেন। কিন্তু তাদের তদন্তে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারেনি। কারণ এ বিষয়ে কেউ সাক্ষী দেয়নি। এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ আসামিদের ডোপ টেস্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে হাস্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। যা নিয়ে সমালোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড