যশোরে আন্ত:জেলা ইজিবাইক চোর চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় ৮টি ইজিবাইক, মাস্টার চাবি, চুরি করার যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো, যশোর কোতয়ালি থানার আমবটতলা সাজিয়ালি গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে রাজু ওরফে বড় রাজু, খুলনার দিঘলিয়ার হাজিগ্রাম উত্তরপাড়ার বাবুল মোল্লার ছেলে রাজু মোল্লা, যশোর শহরের বেজপাড়ার নুরনবী মেম্বরের বাড়ির ভাড়াটিয়া ইয়ার আলী মোল্লার ছেলে শাহাদৎ, একই এলাকার পানির ট্যাংকির পাশে মৃত মিজান শেখের ছেলে আনারুল ইসলাম, কোতয়ালি থানার ধর্মতলা এলাকার জাকির সরদারের ছেলে শাহিন, একই উপজেলার নূরপুর দক্ষিণপাড়ার জামাল গাজীর ছেলে রবিউল ইসলাম গাজী, মণিরামপুর উপজেলার দোনার গ্রামের আশরাফ আলী বিশ^াসের ছেলে সোহেল রানা, খুলনার হরিণটানা থানার কৈয়াবাজারের মৃত ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদার। শনিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ২ নভেম্বর রাতে কোতয়ালি থানার সরদার বাগডাঙ্গা গ্রামের নুর ইসলামের গ্যারেজের তালা ভেঙ্গে একই গ্রামে ইজিবাইক চালক কলিম বিশ^াস ও পুলতাডাঙ্গা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ২টি ইজিবাইক চুরি হয়। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়। একাধিক চুরির ঘটনায় পুলিশ চোরদের গ্রেফতার ও রহস্য উদঘাটনের জন্য যশোর কোতয়ালি থানার পুলিশ, ডিবি পুলিশ অভিযান শুরু করে। এরপর মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেয়া হয়। যশোর গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সৌমেন দাশের নেতৃত্বে ডিবি’র এসআই মফিজুল ইসলাম, সোলাইমান আক্কাস ও শামীম হোসেনসহ অন্যান্য অফিসার ও ফোর্স গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকালে শহরের পালবাড়ীমোড় থেকে ইজিবাইক চোরচক্রের ৫ সদস্যকে মাস্টার চাবিসহ আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি মতে যশোর সদরের নুরপুর হইতে ১ জনকে ও মনিরামপুর রাজগঞ্জ হইতে ১ জনকে আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক খুলনার হরিণটানা থানাধীন কৈয়া বাজারের মূল হোতাকে ৮টি চোরাই ইজিবাইকসহ আটক করে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় একাধিক চুরি মামলা রয়েছে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে দাবি করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শিকদার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, যশোর “ক” সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রাব্বানী শেখ , ডিবির অফিসার ইনচার্জ সৌমেন দাস প্রমুখ।