যশোরে এক গৃহবধূর চুল কেটে মুখে চুনকালি লাগিয়ে মারধর করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। পাশাপাশি এ ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, নয় মাস আগে ওই গৃহবধূর প্রথম স্বামী রেজাউল ইসলাম মারা যান। পরে তিনি প্রতিবেশী নওয়াব আলীকে বিয়ে করেন। প্রথম স্বামী মারা যাওয়ার আগে ওই গৃহবধূকে চার শতাংশ জমি লিখে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর তিনি স্বামীকে নিয়ে ওই জমিতেই বসবাস করছিলেন। কিন্তু ওই জমির ওপর গৃহবধূর প্রথম স্বামীর চাচাতো ভাই আজগর হোসেন ও রিপন হোসেনের লোভ (দাবি) থাকায় জমি থেকে তাকে বিতাড়িত করতে নানা ফন্দি আঁটেন এবং জমি ফেরত দিতে চাপ দেন। এ নিয়ে গত ৬ নভেম্বর এক সালিশে গ্রামের মাতব্বর ওই গৃহবধূকে গাছে বাঁধতে নির্দেশ দেন। সে সময় গ্রামের আব্দুল কাদের বিশ্বাসের ছেলে রাজিবুল হক শিমুল (৩২), মৃত হায়দার আলীর ছেলে রিপন হোসেন (৩০), মৃত আকবর আলীর ছেলে আজগর আলী (৩০), পেচো আলীর ছেলে আকতার আলী (৩০), আজগর আলীর ছেলে বিউটি খাতুন (২৮), আকতার আলীর স্ত্রী বিলকিস বেগম (২৭) এবং রিপন হোসেনের স্ত্রী জোসনা বেগমসহ (২২) অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২/৩ জন ওই গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মাথার চুল কেটে, মুখে চুনকালি মাখিয়ে মারধর করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরে স্বজনরা ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের হয়।
এছাড়াও বেআইনি সালিশ বা বেআইনি ফতোয়া ও বিচার বহির্ভূত শাস্তি বন্ধে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়েও সরকারের নিকট দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
খুলনা গেজেট/এএ